এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বিদায়ী মহাপরিচালক (ডিজি) ও পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) ত্রাণ-সামগ্রী লুটপাটকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ত্রাণ নিয়ে নয়-ছয় বরদাস্ত করব না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সোমবার(১৩ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে শেষ সংবাদ ব্রিফিংয়ে (অনলাইনে) এসব কথা বলেন তিনি।
ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দেশ জাতি যখন করোনার মহামারিতে বিপর্যস্ত তখনও দেখা যাচ্ছে কেউ কেউ ত্রাণ-সামগ্রী লুটপাটের চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার স্পষ্ট বার্তা ত্রাণ নিয়ে নয়-ছয় বরদাস্ত করব না। কঠোরভাবে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নাগরিক দায়িত্ব।এনফোর্সমেন্টের মাধ্যমে বল প্রয়োগের চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজেকে, পরিবারকে ও দেশকে রক্ষার স্বার্থে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা সত্ত্বেও অনেকেই তা লঙ্ঘন করছেন। এখন আপনি ঘরে থাকবেন নাকি কবরে যাবেন এই সিদ্ধান্তটা আপনার।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের হুমকি ধনী-গরিব সবার জন্য সমান। তাই সর্ব সাধারণের জন্য অনুরোধ থাকবে, এই ক্রাইসিসের (সংকটের) মধ্যে নিজের কথা ভাবুন, দেশের কথা ভাবুন, পরিবারের কথা ভাবুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। এই দায়িত্ব কেবল একার নয়, সবার।
বেনজীর আহমেদ বলেন, আমি ঢাকা মহানগর পুলিশে দীর্ঘদিন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ক্রান্তিকালে র্যাব মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার দিয়েছিলেন। আমি বিগত পাঁচ বছর তিন মাস মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। র্যাবের ন্যায় ও ন্যায্য কাজের প্রতি গণমাধ্যম সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এজন্য আমি মহাপরিচালক হিসেবে গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
বেনজীর বলেন, আগামীকাল বাংলা নববর্ষ। এবারের নববর্ষের মেজাজ একেবারেই ভিন্ন। করোনার ক্রাইসিস মুহূর্তে আমি সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি এবং সামাজিক তথা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনুরোধ করছি।