কারো বাবা কৃষক, কারো বাবা শ্রমিক, কারো বাবা আইসক্রীম বিক্রেতা/কলা বিক্রেতা, কারো বাবা মিস্ত্রী, কারো বিধবা মা শ্রমিকের কাজ করে সন্তানকে মানুষ করেছে। কেউ নিজেই টিউশনি করে বা শ্রমিকের কাজ করে বা ভ্যান চালিয়ে উপার্জনের মাধ্যমে লেখাপড়া করেছে। কারো কারো অভিভাবক হয়তোবা ছোট চাকুরী বা ব্যবসা করে সন্তানকে বড় করেছেন। এরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও মেধার দিক দিয়ে এরা অনেক এগিয়ে রয়েছে। এদের চোখে আছে দেশ সেবার স্বপ্ন। এরা অদম্য। শত বাঁধার মুখেও এরা এগিয়ে যেতে চায়। এরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্রত সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হতে চায়। এরা হলো ২০১৯ সালে হবিগঞ্জ জেলা হতে প্রাথমিক ভাবে মনোনীত ৯৭ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল।
গত ০১ জুলাই হতে ০৭ জুলাই পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে এরা মনোনীত হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর হতে আগত ০২ জন পর্যবেক্ষক, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা হতে আগত ০২ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের শ্রম, ধৈয্য ও মেধার ফসল মনোনীত প্রার্থীরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিআইজি মহোদয় ও অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয়ের প্রেরনা হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার কে সাহস জুগিয়েছে। একারনে হবিগজ্ঞের পুলিশ সুপার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন আমি মনোনীতদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ করছি যে, তারা যেভাবে মেধা, যোগ্যতা, ন্যায় ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছে, ভবিষ্যতে বিভিন্ন কর্মস্থলে দেশের সাধারন নাগরিকদের তারা যেন ন্যায় ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে সেবা প্রদান করেন।