দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন সাতক্ষীরা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।শিক্ষার্থীদের এক জনের নাম মোছাঃ সুমাইয়া সুলতানা। সে কুশখালী ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের রব্বামী মীরের মেধাবী কন্যা।অপর শিক্ষার্থীর নাম মোছাঃ শিরিনা খাতুন।সে কুশখালী গ্রামের দিন মজুর বাবা শাহিনুর এর মেধাবী কন্যা।
থানা পুলিশের সুত্র জানায়,টাকা-পয়সার অভাবে মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে সাতক্ষীরা থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারের মাধ্যমে দুই শিক্ষার্থী সহ তাদের অভিভাবক দের থানায় ডেকে পরীক্ষার ফি ও বই কিনতে নগত অর্থ প্রদান করেন ওসি জিহাদ খান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি এঁর নির্দেশনা ও পুলিশ সুপার সাতক্ষীরা কাজী মনিরুজ্জামান এঁর নির্দেশনার আলোকে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষা অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করনে এটি আমার সামান্য প্রয়াস।তিনি বলেন, আজ থেকে মেধাবী দুই শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব ভার সাতক্ষীরা থানা পুলিশের।বুধবার সকালে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান কালে সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর রহমান ও ইন্সপেক্টর (অপারেশন) তারিক বিন ইবনে আজিজ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন,বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় অসহায় ও নিরিহ মানুষের পাশে দাড়ায়।করোনা কালে পুলিশ যেমন কর্মহীন মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছে, করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেলে সন্তান পিতা-মাতা র লাশ রেখে পালিয়েছে কিন্তু পুলিশ করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন করেছে।ঠিক তদ্রুপ টাকার অভাবে যারা বই কিনতে পারছেনা, পরীক্ষার ফি দিতে পারছেনা এমন দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।