আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপারেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের আস্থা অর্জনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)।
বিরোধীপক্ষ ও ভোটাররা ভরসার রাখতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উল্লেখ করার মতো কোনো ঘটনা এই পর্যন্ত নেই। পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছেন যে, ভোটারদের আস্থা এবং বিশ্বাস রাখার জন্য। আমি মনে করছি শেষ সময় পর্যন্ত আমরা বজায় রাখবো।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। দুই সিটিতে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত উৎসবমুখর ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রয়েছে বলেও মনে করেন পুলিশ প্রধান।
তিনি বলেন, ‘তিনঘণ্টা কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এ পর্যন্ত আপনারা দেখেছেন উৎসবমুখর এবং সুন্দর একটি পরিবেশ রয়েছে। প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমরা আশা করছি আগামী যে কয়দিন আছে, উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে।
সেজন্য আমাদের সবাই পরিকল্পনা নিয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে সুন্দর এবং চমৎকার একটি পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। আমাদের সবার প্রয়োজনীয় যে ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা রয়েছে মেট্রোপলিটন পুলিশসহ যারা এর সঙ্গে সম্পর্কিত আছে র্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আমরা আশা করছি সুন্দর ও চমৎকার একটি পরিবেশ বজায় থাকবে।’
দুই সিটির ভোটে বাড়তি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ‘বাড়তি ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। যে কাজটুকু আছে সঠিকভাবে করছি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়াম (বেইজমেন্ট-২) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম দেখতে চাই না।
জনগণ যেন পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিঘ্নে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে এবং এজেন্টরা যেন কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের প্রত্যয় রয়েছে, দৃঢ়তা রয়েছে, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা রয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার একমাত্র কর্তৃপক্ষ আমরাই। আমাদের নির্দেশে ও ব্যবস্থাপনাতেই বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তার দায়িত্বটুকু পালন করতে হবে। এটা করা গেলেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।