দেশে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার(২০ এপ্রিল) ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের আট জেলার প্রশাসনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী সেখানকার পেশ ইমাম মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের কথা শোনার ইচ্ছা পোষণ করে বলেন, ‘এখানকার শোলাকিয়ায় ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত হয়। এবার তো আমরা জামাত করতে পারব না। এবার ঈদের নামাজও তো আমরা করতে পারব না। সেজন্য উনার কাছ থেকে একটু শুনি।’
এর আগে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে পড়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কে কখন সংক্রমণ হবে, তার কোনো ঠিক নেই। সেজন্য আমরা বলেছি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে নির্দেশনা গেছে ঘরে বসে নামাজ পড়বেন। আল্লাহ নিশ্চয়ই ডাক শুনবে। সবার কাছে আহ্বান জানাবো— প্রত্যেকে ঘরে বসে নামাজ পড়েন, দোয়া করেন সবাই, যেন এই করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষ বাঁচতে পারে। এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।’
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়ে কিশোরগঞ্জ পুরাতন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বনেতা আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (র) মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘব করা এবং মানুষের উন্নয়নের জন্য রাতদিন চিন্তা করতেন। সেরকম আপনি অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। রাতদিন আপনার চিন্তা হলো কীভাবে বাংলার মানুষকে সুখী বানানো যায়। শান্তিময় বাংলা বানানো যায়।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ বলেন, ‘আপনি যে চিন্তা ও গবেষণা করেন, তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেন। অন্যান্য দেশে রাষ্ট্র নায়করা যেখানে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেখানে বাংলাদেশ থেকে আপনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছেন। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও রাহাজানি অনেকটা কমে গেছে। বাংলাদেশকে আপনি সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নয়নের রোল মডেলে নিয়ে গেছেন। আপনি সুস্থ থাকলে বাংলাদেশ সুস্থ থাকবে।’
আগামী বুধবার রমজানের চাঁদ ওঠার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে এই ইমাম বলেন, ‘রমজানের চাঁদ ওঠার পরে আপনার যে নির্দেশনা থাকবে, সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’