কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সব ইউনিটকে একযোগে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে কঠোরভাবে নজরদারি করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
কক্সবাজারে পুলিশ অফিসার্স মেসের সম্মেলনকক্ষে আজ রোববার দুপুরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট–প্রধানদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন আইজিপি।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে নামেন বেনজীর আহমেদ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানান জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ও র্যাব-১৫ কক্সবাজার অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ কক্সবাজারের বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শন করেন। এরপর দুপুরে পুলিশের অফিসার্স মেসে বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হয়েছে ওই বৈঠক।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে বেনজীর আহমেদ বলেন, চলমান ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে। ঘনবসতির এই শিবিরগুলোতে বসবাস করছে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সেদিকেও সতর্ক থাকতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান, পুলিশের অপরাধ বিভাগের (সিআইডি) পুলিশ সুপার মো. ফয়সাল আহমেদ, ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক, পিবিআই পুলিশ সুপার সরওয়ার আলম, র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ প্রমুখ।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, দুই দিনের সরকারি সফরে কক্সবাজারে এসেছেন পুলিশপ্রধান ও র্যাব মহাপরিচালক। আগামীকাল সোমবার পুলিশের শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে।