কে এম রেজাউল করিম দেবহাটাঃ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী নলতা শরীফে ২৮ মাঘ, ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশের মধ্যদিয়ে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে ২৬,২৭,২৮ মাঘ, ৯,১০,১১ ফেব্রুয়ারি রোজ রবি, সোম ও মঙ্গলবার তিনদিন ব্যাপি ৫৬ তম বার্ষিক ওরছ শরীফ। অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারক, সাহিত্যিক, দার্শনিক, শতাধিক গ্রন্থের রচয়িতা, মুসলিম রেঁনেসার অগ্রদূত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী, “ স্রষ্টার এবাদত ও সৃষ্টের সেবা” এ মহান ব্রতকে সামনে রেখে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশন সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগর, সুফী-সাধক, পীরে কামেল সুলতানুল আউলিয়া কুতুবুল আকতাব গওছে জামান আরেফ বিল্লাহ হজরত শাহছুফী আলহাজ্জ খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)এঁর ৫৬ তম বার্ষিক ওরছ শরীফের আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠানে নলতা কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক সফল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আলহাজ্জ অধ্যাপক ডা: আ ফ ম রুহুল হক এমপি’র সভাপতিত্বে আলোচনা রাখেন প্রবাসী ড. গোলাম মঈন উদ্দিন (নলতা শরীফ), ভারতের করাই পারসরাই এর খালিদ আহম্মদ, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের প্রাক্তন সভাপতি আলহাজ্জ মুহাম্মদ সেলিমউল্লাহ, মাগুরা থেকে আগত সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জাান শেখর, সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। পীর কেবলা রচিত ভক্তের পত্র থেকে পাঠ করেন ভারত থেকে আগত অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দীন।
আখেরী মোনাজাত সহ তিনদিন ব্যাপি বার্ষিক ওরছ শরীফে আরো উপস্থিত ছিলেন ওরছ শরীফ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও পাক রওজা শরীফের শ্রদ্ধেয় খাদেম আলহাজ্জ মৌলভী আনছার উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের সহ-সভাপতি আলহাজ্জ কাজী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্জ মুনসুর আহমেদ, আলহাজ্জ মো. অঅব্দুর রাজ্জাক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মো. নজরুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) মো. আবু মাসুদ, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আলহাজ্জ ডা. মো. খলিল উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশ, কালিগ্ঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক রাসেল, সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ইয়াছিন আলী, কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ মো. দেলোয়ার হুসেন, কেন্দ্রীয় আহ্ছানিয়া মিশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ মো. এনামুল হক খোকন, কর্মকর্তা ও অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যে আলহাজ্জ চৌধুরী আমজাদ হোসেন, আলহাজ্জ মো. মালেকুজ্জামান, মো. আনোয়ারুল হক, আলহাজ্জ মো. সাইদুর রহমান, আলহাজ্জ মো. ইউনুছ, আলহাজ্জ আবুল ফজল, অধ্যক্ষ মো. রিয়াজুল ইসলাম, ডা. নজরুল ইসলাম, খায়রুল হাসান, শফিকুল হুদা, আলহাজ্জ আলমগীর হোসেন, আলহাজ্জ একরামুল রেজা, আলহাজ্জ রবিউল হক, মো. আজিজুর রহমান, মো. শফিকুল আনোয়ার রঞ্জু, আলহাজ্জ মো. আনারুল ইসলাম, বাচ্চু, আলহাজ্জ অহিদুজ্জামান, আহছানউল্লা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক আলহাজ্জ এ এফ এম এনামুল হক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্জ ড. কাজী এহছানুর রহমান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পরিচালক (হেলথ বিভাগ) ইকবাল মাসুদ, প্রভাষক ও গবেষক মো. মনিরুল ইসলাম, আলহাজ্জ হাবিবুল্লাহ (ভারত), আলহাজ্জ হাফেজ মো. শামছুল হুদা, আলহাজ্জ মো. আবু দাউদ, আলহাজ্জ ডা. আকবর আলী, আলহাজ্জ ডা. আবুল কাশেম, মো. আনছার আলী সহ কেন্দ্রীয় ও দেশ-বিদেশ থেকে আগত আহ্ছানিয়া শাখা মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মী, চিকিৎসকবৃন্দ, স্কাউট, রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক তথা নানা শ্রেণি-পেশার লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ ও শিশু।
আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠানের পূর্বে ৩০ পারা কোরআন খতম করেন হাফেজ মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মো. কবিরুল ইসলাম। মিলাদ শরীফ, ফাতেহা ও তাওয়াল্লাদ শরীফ পাঠ করেন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম আলহাজ্জ মাওলানা মো. আশরাফুল ইসলাম আজিজী। কেয়াম পরিবেশন করেন হবিগঞ্জের মো. আব্দুর রহমান। মুর্শিদী পেশ করেন মো. শাহীন আলম, মো. আনিছুর রহমান ও গাজী আক্তার হোসেন বাচ্চু।নাত-এ রসূল পেশ করেন মো. ফিরোজ আলম। হামদ্ পরিবেশন করেন মো. মানসুরার রহমান। আখেরী মোনাজাতের পূর্বে হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এঁর মাজার শরীফে সরকারি চাঁদর পেশ করা হয়।
সকাল ৯টা থেকে আধাঘন্টা ব্যাপি মুলিম উম্মাহর সুখ,শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন নলতা শরীফ শাহী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্জ মাওলানা মো. আবু সাঈদ জিহাদী রংপুরী। এসময় পাক রওজা শরীফ, মাহফিল মাঠ, মহিলা ক্যাম্প, রাস্তা-ঘাট সর্বত্র মানুষ আর মানুষ। হজরত পীর কেবলার মাজার শরীফ ছেড়ে চলে যেতে ভেবে সকল ভক্তব