মাহফিজুল ইসলাম আককাজ :: উৎসব আনন্দ ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা কালী পূজা। মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) রাতে সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি কালী মন্দির ও পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত শ্রী শ্রী শ্যামা কালী পূজা ও দীপাবলি উৎসব পরিদর্শন করেন এবং আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
পূজা উপলক্ষে মন্দিরগুলোকেও সাজানো হয়েছে রঙিন আলোয়। সন্ধ্যায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে প্রতিটি মস্ডপসহ হিন্দুদের প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বালানো হয় সহ¯্র প্রদীপ। পৃথিবীর সকল অন্ধকারের অমানিশা দূর করতেই এই আয়োজন। এছাড়া আতসবাজীতে মেতে উঠতে দেখা গেছে শিশু কিশোরদের।
এসময় এমপি রবি বলেন,‘ পৃথিবী জুড়ে দিন দিন বাড়ছে দুষ্ট চক্র। সমাজে অশান্তি ও অরাজকতা বাড়ানোই ওই চক্রের মূল কাজ। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। তাই মা কালীর আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয় করতে হবে। এটি কালী পূজার প্রধান মহাত্ম।’ এসময় এমপি রবি হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি মুনশিপাড়া শ্যাম সন্দর মন্দির, পৌরসভার পীছনে অবস্থিত হরিজন পল্লী পূজা মন্ডপ, ধোপা পুকুর পূজা মন্দির ও মেহেদীবাগ পুজা মন্দির পরিদর্শন করেন এবং আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তন সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, গোষ্ঠ বিহারী মন্ডল, শ্যাম সুন্দর মন্দিরের পরম পুরুষ কৃষ্ণদাস ব্রক্ষèচারী, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎ¯œা আরা, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এপিপি অ্যাডভোকেট শেখ
তামিম আহমেদ সোহাদ, যুব নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর আজহার আলী শাহীন, সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদিকা সুলেখা দাস, শিবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. শওকাত আলী, বাঁশদহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ
সম্পাদক মাস্টার মফিজুর রহমান, হরিজন পল্লী পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা বাবুলাল ডোম, সভাপতি রতন হালদার, সাধারণ সম্পাদক জঙ্গিলাল, জীবন কুমার, দুলাল লালসহ দলীয় নেতা কর্মী হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তকুল উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামা পূজা গভীররাতে অনুষ্ঠিত হলেও সকাল থেকে মন্দির ও পূজামন্ডপগুলোতে ভিড় জমাতে থাকে ভক্তরা।
তবে সন্ধ্যার পর থেকে মন্ডপগুলোতে ভিড় আরো বাড়তে থাকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। সকাল থেকেই মন্ডপগুলোতে ছিল নানা ধর্মীয় কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল মায়ের আবাহন, বাল্য ভোগ, মায়ের পূজা, ও ভোগরাগ, প্রসাদ বিতরণ, শ্যামা সংগীত ও ভক্তিমূলক গান, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, চন্ডীপাঠ। রাত ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় শ্রী শ্রী শ্যামা মায়ের পূজা। পূজা শেষে দেওয়া হয় ভক্তদের অঞ্জলি ও প্রসাদ। পরে অনুষ্ঠিত হয় পাঠা বলি।