নজরুলের বাণী আর সুরের মূর্চ্ছনায় দর্শকদের মুগ্ধ করলেন সাতক্ষীরার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শামীমা পারভীন রত্না। রাজধানীর জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের আয়োজনে ‘নজরুল সংগীতের আসর’-এ ঢাকার শিল্পীদের সঙ্গে গানের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সুন্দরবন ও সাগর পাড়ের এই গুণী শিল্পী। রোববার সন্ধ্যায় অসাধারণ এক মনমুগ্ধকর সংগীতের আসর ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এ নজরুল সংগীতের আসরে সন্ধ্যা থেকেই হল বোঝাই নজরুল প্রেমী। মিলনায়তনে হালকা মিষ্টি আলোর আবেশে সেতারের ঝংকারে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করে। তারপর একে একে নজরুলের গানে বিমুগ্ধ হন দর্শকরা।
‘চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না’, ‘খেলিছো এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু’, ‘চাঁদ হেরিছে’, ‘ভীরু এ মনের কোনে’, ‘মোর ঘুম ঘোরে এলো মনোহর’ অসাধারণ এই গানগুলো বিমোহিত করেন আসরে অংশ নিতে আসা সংগীত পিপাষুদের। বরেণ্য নরুল সংগীত শিল্পী সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে কয়েকটি কোরাস গান পরিবেশন করে নজরুল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
গান পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী যোসেফ কমল রড্রিক্স, শারমিন জাহান, বদরুন্নেসা ডালিয়া, শহীদ কবির পলাশ, সাতক্ষীরার শামীমা পারভীন রতœা এবং পটুয়াখালীর অধ্যাপক অশোক দাস। প্রত্যেকেই দুটো করে গান গেয়ে শোনান দর্শকদের।
শামীমা পারভীন রত্না গেয়ে শোনান নজরুলের ‘ভীরু মনের এ কলি’ এবং ‘মোর ঘুম ঘরে এলে মনোহর’ গান দুটি। উপস্থিত দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালিতে অভিনন্দিত করেন সাতক্ষীরার এই শিল্পীকে।
এর আগে নজরুলের সংগীত নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। প্রত্যেক শিল্পীর হাতে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান জানান কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক ভূঞা।