♣♣♣♣
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, নদীর মোহনাগুলো সংস্কার করে চমৎকার মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা সম্ভব। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বিত উদ্যোগে এটি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।
তিনি আজ দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে ‘মৎস্যসম্পদে দূষণ ও প্রতিরোধ’ সম্পর্কিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন এই সেমিনারের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে পরিকল্পতিভাবে ছোট ছোট প্রকল্প হাতে নেয়া যেতে পারে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ঝুঁকি কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বর্জ্য পদার্থ যাতে নদীতে না পড়ে তার জন্য সকল মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে হবে। একটি সুচিন্তিত মতামত ও মহাপরিকল্পনা নিয়ে সামনে এগুতে হবে আমাদের। তিনি বলেন, জাতির পিতার হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু চেয়ে ছিলেন সবাইকে নিয়ে দেশ গড়বেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়শীল দেশে পরিণত হতো। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির সহাযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. আতাউর রহমান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও মৎস্য উৎপাদন এলাকায় বর্জ ছড়িয়ে পড়ে মাছের শরীরে প্রবেশ করছে। জনসাধারণ এই মাছ খেয়ে বিভিন্ন রকম নতুন ও দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো তাদের গবেষণা দিয়ে এসব এলাকা চিহ্নিত করে ইতোমধ্যে প্রাতিকারের ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে এখনো পিছিয়ে রয়েছে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নিলে অষ্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশেও অনুরূপ গবেষণা শুরু করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এবং পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
সেমিনারে সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মৎস্য গবেষক, রপ্তানিকারক, সাংবাদিক, চিংড়ি এবং মৎস্য চাষীরা অংশগ্রহণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.