দেশের নদী ও অন্যান্য জলাশয় বাঁচিয়ে রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘মানুষের হার্ট ব্লক হলে মারা যেতে পারে। আমাদের নদী ও খালগুলো মানুষের জীবনের মতো। তাই এগুলোকে প্রবাহিত রাখতে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী সোমবার তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ৪৩০টি ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনসহ ৮০টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় চক্ষু কেন্দ্র স্থাপনের সরকারের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চতুর্থ ধাপে ২৮টি জেলার ৬৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘৬৫টি কমিউনিটি চক্ষু কেন্দ্র’ উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী পরিবেশের পাশাপাশি নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দেশে বিভিন্ন সময়ে নদী, খাল, বিল এমনকি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।’
‘সুতরাং নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের পানির প্রবাহ বজায় রেখে প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প আমাদের নিতে হবে। আমাদের দেশে যখনই কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়, তখনই পানিসম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হয়’-বলেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জায়গায় অন্তত একটি জলাধার নির্মাণের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদচিহ্ন অনুসরণ করে নদী, হাওর-বাঁওড়, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলাশয়ের প্রাকৃতিক প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রেখে ড্রেজিং করতে হবে।
প্রকৃতি তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সমন্বিত ‘জয়যাত্রা’ শিরোনামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক।অনুষ্ঠানে পানি সম্পদ সচিব নাজমুল আহসান,স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও দুই মন্ত্রনালয়ের উদ্ধর্ত্তন কমর্কতা গণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর দুটি পৃথক ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়।