১২ অক্টোবর ২০১৯ টাঙাইল সদরের ভাল্লুককাদি গ্রামে যখন মা লাকী বেগম (২২) ও মেয়ে হুমায়রা আক্তার আলিফা (০৪) ঘাতক কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ঘটনার পরপরই আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমে পরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। বেশ কিছু বিষয় মাথায় নিয়ে, যেমন নিহত মায়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক বা মেয়ের বাবার সাথে অন্য কারো পরকীয়া অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য কোন প্রলোভন ইত্যাদি বিষয় এ হত্যাকাণ্ডকে তাড়িত করতে পারে, এসব বিষয় নিয়ে এগুতে থাকে । সব বিষয়কে পিছনে ফেলে শুধুমাত্র নিহতের পরিবারের বিকাশ ব্যবসায়ের প্রায় ৮ লক্ষ টাকার লোভে মা লাকী বেগম ও মেয়ে আফিফাকে একাই খুন করেন আত্বীয় রাইসুদ্দিন। ঘটনার এখানেই শেষ নয়।
রাইসুদ্দিন শুরু থেকেই এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশকে সহায়তা করতে থাকে। কিন্তু প্রযুক্তি ও পুলিশ তদন্ত কৌশলের কাছে কুপোকাত হন রাইসুদ্দিন। ঘাতক ভেবেছিল পুলিশ কোনভাবেই এই হত্যাকান্ডের কূলকিনারা করতে পারবে না। কিন্তু পুলিশ যখন একদিনেই তাকে ধরে ফেলেছে তখন তিনি ধীরে ধীরে সব উম্মোচন করেন। এখানেই শেষ নয়, হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা কাপড়-চোপড়, টাকা ও অন্যান্য সাক্ষ্যসমূহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাইসুদ্দিন বিজ্ঞ বিচারিক হাকিমের কাছে শুধুমাত্র ৮ লক্ষ টাকার জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন মরমে ১৩ পাতার জবানবন্দি দেন। ১৪ অক্টোবর একমাত্র আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়। নান্দনিক এই পুলিশি রহস্য উদঘাটন অনেকের কাছেই মনে হতে পারে সিনেমার গল্প।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.