সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার (কাউন্টডাউন) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও এ ক্ষণগণনা শুরু হয়। এর আগে বেলা ৩টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ক্ষণগণনার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
ক্ষণগণনার উদ্বোধন শেষে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, জেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তারা মিলে মুজিববর্ষে নারায়ণগঞ্জকে সাজাবো ও ক্ষণগণণার দিবসের জন্য একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবো। পাশেই একটি মুজিববর্ষ কর্ণার করা হয়েছে সেখানে এই ১ বছর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কি কাজ হবে সেটি দেখানো হবে।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু রহমান। যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। আমি এসপি হতে পারতাম না, আমরা কেউ ডিসি হতে পারতাম না এবং আমরা কেউ বড় কর্মকর্তা হতে পারতাম না। এ বছর আমরা যে স্লোগান নিয়ে কাজ করেছি তা হলো ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’। আমরা জনতার পুলিশ হতে চাই ও দেশে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। আমরা যে যেখানে আছি সবাই যদি সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারি তাহলেই আজকের এইদিনটি স্বার্থক হবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ সবসময় জাতির পিতার আদেশে ও তার চেতনায় কাজ করে গেছে। আমি আপনাদের সাথে জাতির পিতার চেতনায় বিশ্বাসী হয়ে কাজ করে যেতে চাই।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, আজকের এই দিনটিতে আমাদের শপথ নেওয়া উচিত। জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আমরা যে যে জায়গায় আছি সেখান থেকে যদি একজন মানুষ ও সোনার মানুষ হয়ে উঠি তাহলেই সোনার বাংলা হয়ে উঠবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১ এর সিইও লেফট্যানেন্ট কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সহ সভাপতি চন্দন শীল, জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রফেসর শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সদর ইউএনও নাহিদা বারিক সহ মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।