মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হজরত আলী (৯৪) আর নেই। স্ট্রোকসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে তিনি উপজেলার নারায়ণপুরে (উত্তর কালিগঞ্জ শহীদ সামাদ স্মৃতি ময়দান সংলগ্ন) নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে, ৪ মেয়ে, নাতী-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ডা. হজরত আলীর জামাতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারালী ইউপি’র চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট জানান, বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০ টার দিকে শহীদ সামাদ স্মৃতি ময়দানে প্রথম জানাজা এবং বাদ জোহর গ্রামের বাড়ি মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাড়দ্দহ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানুষের অন্তরে ঠাঁই পাওয়া চিকিৎসক, সদালাপী, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হজরত আলীর মৃত্যুর খবর জানার পরপরই উপজেলা ব্যাপী শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মরহুমের বাসভবনে আসছেন। তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন।
এদিকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ডা. হজরত আলীর মৃত্যুর খবর জানার পরপরই শোক জানিয়ে বিবৃত্তি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ,সাতক্ষীরা জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক,সাতক্ষীরা ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা জেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা আ'লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।