সিটিজেন জার্নালিস্ট,সাতক্ষীরা:বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ভোটাধিকার বিশ্বব্যাপী অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত এবং আমাদের দেশে নির্বাচনকে উৎসব হিসেবে দেখা হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে কোন সম্প্রদায় যেন আক্রান্ত না হয় সে দিকে সর্বোচ্চ দৃষ্টি দিতে হবে।
খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ‘নির্বাচনকালীন মানবাধিকার সংরক্ষণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এই আহবান জানান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত সভায় কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বঙ্গবন্ধুর আহবানে মুক্তিযুদ্ধে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণ তার বড় প্রমাণ। কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে পাশবিক নির্যাতন হয়েছিল এবং ২০১৪ সালেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে সকল ঘটনা ঘটেছিলো সে ধরণের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা আর দেখতে চাই না। এজন্য আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি নাগরিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে নাগরিক ফোরাম গঠন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে এক সাথে কাজ করতে হবে।
মুখ্য আলোচক হিসেবে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির ‘সম্প্রাদায়িক সংন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ গড়ে তোলার আহবান জানান, পাশাপাশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত ৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অস্থায়ী ভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের অনুরোধ করেন।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া,খুলনা রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রফিকুল ইসলাম এবং খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে খুলনা জেলার বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, আইনজীবী, মিডিয়াকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন নির্বাচনের সময় আক্রান্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন। খুলনা জেলা প্রশাসন এ মতবিনিময় সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে।