নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকর গোলাম ফারুক। আজ বুধবার রাতে তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগি নারী ও তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, প্রাথমিকভাবে ৯ জনকে আসামি করে মামলা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তর করা হয়। রুহুল আমিন মেম্বারকে আসামি না করার প্রসঙ্গে বলেন , এর সঙ্গে রুহুল আমিন বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তারা যে দলের বা যত প্রভাবশালীই হোক তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা পুলিশের দায়িত্ব। ভিক্টিমের বাড়িতে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।
এর আগে তিনি সন্ধ্যায় ওই নারীর সুবর্ণচর উপজেলার মধ্য চরবাগ্যা গ্রামের বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং সেখানকার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন আন্ড ক্রাইম ) মো. আবুল ফয়েজ , পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফসহ পুলিশের স্থানীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৩০ ডিসেম্বর গভীর রাতে এক দল দূর্বৃত্ত পুলিশের পরিচয়ে তার বসত ঘরে ঢুকে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে ঐ নারীকে ঘরের বাহিরে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ ও বেদম প্রহার করে জবাই করার চেষ্টা চালায়। এ সময় ভিক্টিম তাদের নাম প্রকাশ করবেনা বলে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে ভোর রাতে উঠোনে ফেলে রেখে যায়।
সূত্র:নিউজ 24.
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.