‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি’ সরকারের একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। শীঘ্রই প্রকল্পটি একনেক সভায় পেশ করা হবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসে জাইকা’র বাংলাদেশস্থ চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হিতোশি হিরাতা (ঐরঃড়ংযর ঐরৎধঃধ) দেখা করতে এলে এসব কথা বলেন।
জাইকা’র বাংলাদেশস্থ চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রকল্প বাস্তবায়নে অফিসিয়াল কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। শীঘ্রই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় নৌপরিবহন সচিব মো. আবদুস সামাদ, যুগ্মপ্রধান রফিক আহম্মদ সিদ্দিক, জাইকা’র বাংলাদেশস্থ রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়াতারু ওসাওয়া (ডঅঞঅজট ঙঝঅডঅ) এবং প্রিন্সিপাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার আহমদ মুকামমেলুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি’ বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭,৭৭৭.১৬ কোটি টাকা । জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সী (জাইকা)-এর অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করবে। এত জাইকার ঋণ ১২,৮৯২.৭৬ কোটি টাকা, ২,৬৭১.১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থ ২,২১৩.৯৪ কোটি টাকা।
প্রকল্পের মধ্যে অন্যান্য কাজের সাথে প্রায় ২৮ কিলোমিটার চারলেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মিত হবে। উক্ত সড়কে ১৭টি সেতু থাকবে। ১৭ টি সেতুর দৈর্ঘ প্রায় সাত কিলোমিটার। প্রকল্পের মেয়াদ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ হতে জুন ২০২৬ পর্যন্ত। এটি বাস্তবায়িত হলে ১৯ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দরে ভিড়তে পারবে। দেশের অর্থনেতিক উন্নয়নে বন্দরটি বিরাট ভূমিকা পালন করবে।