♠♠♠
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক মো: মোখলেসুর রহমান বিপিএম (বার) বলেছেন, অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান।
চিরসবুজ জলমগ্ন অরুণিমা দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমিও এখানে আসার অপেক্ষা করছিলাম, সুযোগ পেলাম তাই চলে এলাম।
তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বেশি আকষণীয় হিসেবে যেটি প্রতিফলিত, সেটি হলো বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পরিযায়ী পাখি। এছাড়া অন্যান্য দেশি-বিদেশি পাখি সব সময়ে এখানে থাকে। বিশেষ করে শীতের সময়ে এখানে পাখির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। পাখির কলকাকলি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে নড়াইলের নড়াগাতি থানার পানিপাড়া এলাকায় অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন দ্রুত হচ্ছে, উন্নয়নের প্রভাব বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন পড়েছে; তেমনি মানুষের আনন্দ-বিনোদনের স্থানগুলোতে পড়েছে। মানুষ বিনোদনপ্রিয় হয়ে উঠছে, ভ্রমণ করছে। বাংলাদেশ পুরোটাই ভ্রমণের উপযুক্ত জায়গা, সেগুলোকে যদি যথাযথ ভাবে সৌন্দর্যমন্ডিত করা যায়-তাহলে বিভিন্ন এলাকায় অরুণিমার মতো স্থান গড়ে উঠতে পারে। অরুণিমা রিসোর্ট প্রকৃতি নির্ভর পথিকৃত হিসেবে আমাদের সামনে এসেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ রিসোর্ট ভূমিকা রাখছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) হাবিবুর রহমান বিপিএম, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম প্রমুখ।
এর আগে অরুণিমা রিসোর্ট চত্বরে আমের চারা রোপন এবং বকুলতলা চা চত্বর উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়া বিকেলে অরুণিমা লেকসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন তিনি। দু’দিনের সফর শেষে বুধবার রাত ৮টার দিকে রিসোর্ট করেন।
জানা যায়, নড়াইলের নড়াগাতি থানার পানিপাড়া এলাকায় ‘অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাব’ অবস্থিত। চিত্তবিনোদন এবং আবাসিক ব্যবস্থার পাশাপাশি ৬০ একরের অরুণিমায় রয়েছে তিন লক্ষাধিক ফলদ, বনজ, ওষুধি গাছসহ সৌন্দর্যবর্ধনকারী অসংখ্য ফুল ও লতাপাতা।
এদিকে, ৬০ একরের মধ্যে ২৩ একর জায়গা জুড়ে লেক রয়েছে। এ লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষাবাদ হয়ে থাকে। ট্যুরিজম রির্সোট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য ও অরুণিমা রিসোর্ট গলফ ক্লাবের চেয়ারম্যান খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, কৃষি (এগ্রো), প্রকৃতি (ন্যাচার) ও খেলাধূলাকে (স্পোর্টস) গুরুত্ব দিয়ে ২০০৯ ‘অরুণিমা’ গড়ে তুলেছি। এর আগে ২০০৪ সালে ইকোপার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বছরের প্রায় নয় মাস অতিথি পাখির বিচরণ রয়েছে এই অরুণিমায়। দেশি এবং অতিথি পাখির এ অভয়াশ্রম টিকিয়ে রাখতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।