★★★
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,( পিপিএম) বলেছেন,নড়াইল জেলায় হয় আমি থাকবো.... তানাহলে মাদক ব্যবসায়ীরা থাকবে। মাদক দেশের শত্রু, মাদক জাতীর শত্রু।মাদক সকল পাপ কাজের জননী।মাদক সেবনের টাকা যোগার করতে গিয়ে মাদকাসক্তরা বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।কোন সুস্থ্য মানুষ ঠান্ডা মাথায় মানুষ খুন করতে পারেনা কিন্তু একজন ইয়াবা সেবী টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করতে পারে।পুলিশ সুপার আরো বলেন,
“মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস একটি জাতি ধ্বংসের প্রধান হাতিয়ার। কাজেই এগুলোর সাথে কোনো আপোষ নয়। ছাত্রজীবন থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে লড়েছি। পুলিশে যোগদান করার পর মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সুযোগ যখন সৃষ্টিকর্তা করেই দিয়েছে তখন অচিরেই নড়াইল থেকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস নিশ্চিহ্ন করে ছাড়বো।”
নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সাথে চলা এক মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম। শুক্রবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০টায় নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়ের সভাপতিত্বে ‘নড়াইল জেলার আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত উন্মুক্ত খবর’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, (পিপিএম) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উক্ত ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যা, ক্লাবটির সাংগঠনিক সম্পাদক বুলু দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তার মোল্যা, বাগডাঙ্গা, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান, নড়াইল থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের বাংলা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর শেখ, বিডি খবরের প্রতিনিধি সাজ্জাদ তুহিনসহ নড়াইল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। নড়াইলের বর্তমান আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, আমি যেদিনই নড়াইলে যোগদান করেছি সেদিন থেকে নড়াইল জেলাকে নিজ মাতৃভূমির মতো ভালোবাসতে শুরু করেছি। কারণ আমার কাছে আমার কর্তব্যই বড়। আমি যে জেলায় অবস্থান করবো সে জেলায় মাদকের রমরমা ব্যবসা, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম হবে আর সেটা আমি মেনে নেবো এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। পুলিশের পোশাক গায়ে জড়ানোর পর থেকেই অপরাধ ও অপরাধীদের সাথে দুশমনী শুরু করেছি। ইতোমধ্যে নড়াইল জেলা থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। সেই সাথে আটক হয়েছে প্রচুর মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামি গ্রেফতারের সংখ্যাও বর্তমানে অনেক।
সেই সাথে কয়েকজনও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, নড়াইল জেলাকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে আমার সাথে সমান তালে পরিশ্রম করছেন নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম,সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, নড়াইল জেলা বিশেষ শাখার পরিদর্শকসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ। এসকল কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে মাদক নির্মূলে নড়াইল জেলা পুলিশ অনেক প্রশংসাও কুড়িয়েছে। প্রধান অতিথি নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম তাঁর বক্তব্যের শেষাংশে বলেন, মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের কোনো খবর কারো কাছে থাকলে তা সাথে সাথে নড়াইল জেলা পুলিশকে অবগত করতে।
কারণ অপরাধ চেপে রাখা ও অপরাধীকে সহায়তা করাও অপরাধের আওতায় বাইরে নয়। নড়াইলবাসীকে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায় বলেন, নড়াইলের বর্তমান পুলিশ সুপার শুধু মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের পেছনেই সময় ব্যয় করেন না। তিনি সম্প্রতি ‘মৎস্য প্রকল্প’ এর কাজ শুরু করে নড়াইলবাসীর অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন। সেই সাথে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের নিউ মুসলিম ছাত্রবাসে টেলিভিশন বিতরণ, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে মৌসুমি ফল বিতরণ, বিভিন্ন গ্রামের দলীয় কোন্দলের মীমাংসাসহ বিভিন্ন প্রশংসামূলক কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছে।