পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা’ এবং ‘পদ্মা সেতু উত্তর থানা’ স্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ দুই থানার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অনুষ্ঠিত সভাশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী র পক্ষে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফ আহমুদ।
বৈঠকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, শরীয়তপুর, মুন্সিগঞ্জসহ পদ্মা সেতুের আশপাশের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা, সিনিয়র সচিব, র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সেতু বিভাগের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা, গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরে সভার সিদ্ধান্তগুলো লিখিতভাবে গণমাধ্যমকে জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফ আহমুদ।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মা সেতু দক্ষিণ প্রান্তে শরীয়তপুরের জাজিরায় স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া প্রান্তে স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা। মঙ্গলবার এ দুই থানা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন এবং জনসভাকে কেন্দ্র করে পদ্মাপাড়ে নিñিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি থাকবে পুলিশের কন্ট্রোল রুম। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিশিষ্ট রাজনীতিক, কুটনীতিকদের অনুষ্ঠানে প্রবেশ এবং অবস্থানকালে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা পারস্পারিক সমন্বয় মাধ্যমে কাজ করবেন। পদ্মা সেতু সংলগ্ন পদ্মা নদী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে, নৌ দুর্ঘটনারোধে অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ দিয়ে পদ্মায় চলাচল করা নৌযান ওভারলোড নিয়ে চলাচল করতে পারবে না। অনুষ্ঠানস্থল, পদ্মা নদীতে নৌপুলিশ ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম থাকবে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে আসা ও যাওয়ার পথে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ এবং অতিথিদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে। নাশকতা এড়াতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে।
পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবী থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে পানি, স্বাস্থ্যসেবা দিতে অ্যাম্বুলেন্স ও মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।