পরকীয়ার জেরে হত্যা হলো বিপুল, অপহরণের ১দিন পর বস্তা ভর্তি লাশ উদ্ধার। গ্রেফতার-৩, ভিকটিমের মোবাইল ও হত্যাকাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
গত ০৫/০৬/২০২০ ইং তারিখ সকাল ০৭.৩০ ঘটিকার সময় চৌগাছা থানাধীন বেড়গোবিন্দপুর মুলিখালী বটতলার রাস্তার পার্শ্বে ঝোপের মধ্যে বস্তাভর্তি পুরুষ ব্যক্তির লাশ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে পরিচয় পাওয়া যায়। নিহতের নাম বিপুল হোসেন (৩৫), পিতা- মোঃ জামাল হক, সাং- হিজলী, থানা- চৌগাছা, জেলা-যশোর। নিহতের ছেলে মোঃ রকি আহমেদ এর অভিযোগের ভিত্তিতে চৌগাছা থানার মামলা নং-১০ তাং-০৫/০৬/২০২০ ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। মামলাটি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম মহোদয় যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর তদন্ত ন্যাস্ত করেন।
গ্রেফতার অভিযান :
পুলিশ সুপার, যশোর জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম এঁর দিক নির্দেশনায় ওসি ডিবি, মারুফ আহম্মদ এঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন ও আইটি শাখার এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ০৬/০৬/২০২০ ইং তারিখ বেলা ১৪.০০ ঘটিকার সময় মনিরামপুর থানাধীন গোপালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যার মুল পরিকল্পনাকারী ১। মোঃ সবুজ হোসেন (১৯), পিতা-আবু শামা ২। মোছাঃ ফুলবানু বেগম (৩৮), স্বামী- আবু শামা, সাং- হিজলী, থানা- চৌগাছা, জেলা-যশোরদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের সহযোগী ৩। মোঃ তুহিন (২৫), পিতা- গিয়াস উদ্দিন, সাং- হিজলী, থানা-চৌগাছা, জেলা-যশোরকে হিজলী বাজার থেকে বিকাল ১৬.১০ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে চৌগাছা পুড়াপাড়া জনৈক ইদ্রিস আলীর পাটক্ষেতের ভিতর থেকে ভিকটিমের ০১টি মোবাইল ফোন ২টি সীমসহ উদ্ধার করা হয়। এরপর হত্যার স্থান পলাতক আসামী রফিকুলের বসতবাড়ী চৌগাছা থানাধীন দক্ষিন কয়ারপাড়ায় অভিযান পরিচালণা করে ধৃত আসামী সবুজের দেখানো মতে হত্যাকাজে ব্যবহৃত ১টি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয় এবং চৌগাছা বাজারের যে দোকান থেকে চটের বস্তা ক্রয় করা হয়েছিল সনাক্ত পূর্বক নমুনা চট জব্দ করা হয়। চৌগাছার অফিসার ইনচার্জ ও থানা পুলিশ ডিবিকে সার্বিক সহযোগীতা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও হত্যার কারণ :
নিহত বিপুল ফুলবানুর সাথে ০৩ বছর যাবৎ পরকীয় প্রেম ও দৈহিক সম্পর্ক করে। তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ছেলে সবুজ দেখে ফেলে এবং বিপুলকে সতর্ক করা সত্বেও না মানলে সবুজ ও তার ভগ্নিপতি রফিকুলের সাথে তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে ঘটনার দিন সবুজরে ভগ্নিপতি দক্ষিণ কয়ারপাড়া সাকিনের লালনের ছেলে রফিকুল গরু কিনার কথা বলে বিপুলকে ডেকে নিয়ে তার বসতঘরে নিয়ে শ্বাসরোধ ও মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং গোপনাঙ্গে চেপে ধরে হত্যা করে বস্তাভর্তি করে গভীর রাতে ঘটনাস্থল বেড়গোবিন্দপুরে ফেলে দেয়। সবুজের পিতা আবু শামা ১০/১২ বছর যাবৎ মালয়েশিয়াতে আছে।