বাসায় পার্টির আয়োজন করে কৌশলে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল ও ফাঁদে ফেলে উচ্চবিত্তদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মাদকসহ গ্রেপ্তার মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে। একই কাণ্ডে নাম এসেছে গ্রেপ্তার নায়িকা পরীমনিরও। এরপর গুঞ্জন উঠে পিয়াসা ও পরীমনিদের বাসায় যারা নিয়মিত যাতায়াত করতেন তাদের তালিকা হচ্ছে। তবে তা নাকচ করে দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, কারো সঙ্গে সম্পর্ক থাকা বেআইনি নয়। পরীমনি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বাসায় যাতায়াত ছিল এমন ব্যবসায়ী বা ব্যক্তিদের কোনো তালিকা করা হচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির কমিশনার বলেন, পরীমনি, ফারিয়া মাহবুব ও মৌয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাদের কবল থেকে রক্ষা পেতে দুই-তিনজন ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগীরা এসব চাঁদাবাজের বিষয়ে তথ্য দিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
তিনি চাঁদাবাজদের কল রেকর্ড করতে ভুক্তভোগীদের পরামর্শ দেন। এসব কল রেকর্ড পরে পুলিশের কাছে জমা দিতে বলেন। পাশাপাশি এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে স্থানীয় থানা বা ডিএমপিকে তথ্য জানাতে অনুরোধ করেন।
ডিএমপির এ পুলিশপ্রধান বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন ব্যবসায়ী এমন চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পেতে ডিএমপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। লোকলজ্জার ভয়ে গুলশানের আতঙ্কিত একজন ব্যবসায়ী ডিএমপির কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকা তো বেআইনি নয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা না হয়।
গত ১ আগস্ট গুলশানের বারিধারায় মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বাসায় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাত ১২টার পরপর তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসার ভেতর তল্লাশি চালিয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একই রাতে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। তার বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত ১টার দিকে মৌকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে ৪ আগস্ট বিকালে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত পরীমনির বাসায় টানা তিন ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার কর র্যাব। তার বাসায় অবৈধ মদ এবং বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়া যায়। এসব অবৈধ মাদক রাখার দায়ে পরীমনিকে প্রথমে আটক, পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরীমনিকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজ মাল্টিমিডিয়ার স্বত্বাধিকারী ও চলচ্চিত্রাঙ্গনের পরিচিত মুখ নজরুল ইসলাম রাজকে মাদকসহ আটক করে র্যাব। রাত ১০টার পর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাসা থেকে উদ্ধার হয় বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, সিসা ও সিসা খাওয়ার সরঞ্জামাদি।
সুত্র: ঢাকা টাইম্স টুয়েন্টিফোর ডটকম।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.