বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অন্যতম এক নির্দশন। বহি:বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতির ধারক বাহক এই সুন্দরবন। নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যোর লীলা ভূমি সুন্দরবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন স্পট।
তন্মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম একটি মনোরম দর্শণীয় স্পট। অপরূপ সাজে পর্যটক কেন্দ্রটি ইতোমধ্যে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের মন কাড়তে সক্ষম হয়েছে। বুড়িগোয়ালিনী বন অফিসেরসার্বিক তত্ত্বাবধানে ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে আছে অসংখ্য রকমের প্রাণ বৈচিত্রের সমাহার। যা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। অসংখ্য পর্যটকদের পদচারনার ভিড়ে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ।
বুড়িগোয়ালিনী বন স্টেশন কর্মকর্তা এসও এম কবীর হোসেন জানান, কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজমকেন্দ্রটির কলেবর বৃদ্ধি এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নানান কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে আছে বিভিন্নরকমের পাক পাকালি ও বন্য প্রাণি। তন্মধ্যে সুন্দরবনের মায়াবি হরিণ, বানর, টিয়া, বন মোরগ, ঘুঘু, ময়না, কাঁক, মদনটাক, শালিক ওবিভিন্ন প্রজাতির বক। দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারী হতে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে মোট ২৭ হাজার ২শত জনপর্যটক ভ্রমণ করেছে এখানে। এ সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০টাকা। রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সরকারিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন তিনি। পর্যটন কেন্দ্রটি আন্তজার্তিক মানের করা গেলে সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, বেকার সমস্যা সমাধান হবে ও এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে বিশিষ্টজনের অভিমত।
প্রাংসঙ্গত; সাতক্ষীরা জেলার সাবেক সফল জেলা প্রশাসক,ভিক্ষুক মুক্ত খুলনা বিভাগের রুপকার তথা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও বর্তমান নৌপরিবহন সচিব জনাব মো:আবদুস সামাদ,সাতক্ষীরা জেলার মধ্যমনি ও সাবেক সফল জনবান্ধব জেলা প্রশাসক ও বর্তমান যুগ্ম-সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রানলায় জনাব আবুল কাশেম মো:মহিউদ্দিন এবং শ্যামনগর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার ও বর্তমান উপসচিব জনাব মজ্ঞুরুল হক ও বর্তমান শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব মো:কামরুজ্জামানের নিরালস চেষ্টা,আন্তরিকতা ও পরিশ্রমে আজ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সুন্দরবনে কলাগাছিয়া এলাকায় আকাশলীনা ইকোট্যুরিজম পর্যটন সেন্টার গড়ে উঠেছে।