বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ঐ মাদ্রাসার ছাত্রী(১৪) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার মাদারবাড়িয়ার গ্রামের বসিন্দা ও গুনাগারকাটি দাখিল মাদ্রসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষকের নাম আব্দুস সালাম মোড়ল (৩৮)। সে পাটকেলঘাটা থানার শুকতিয়া গ্রামের মোঃ খালেক মোড়লের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) রাতে স্থানীয় জনতা পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা ইউনিয়নের কদমতলা বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে থানা পুলিশে সোপার্দ করে। ভিক্টিমের মা জানায়, কয়েক বছর আগে টিকারামপুর গ্রামের প্রতিবন্ধী যুবক জুয়েলের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। এরপর থেকে মাঝে মাঝে সালাম তার মেয়েকে উত্যাক্ত করে আসছিল।
এক পর্যায়ে ঐ যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার মেয়ের। এরপর আগের জামাতার সাথে গোপনে ছাড়া ছাড়ি হয় তাদের। তিনি আরো জানান, গত দুইদিন আগে তার মেয়ে জামাতার বাড়িতে আসবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সকালে থানায় এসে শুনি এই ঘটনা জানতে পারেন।
ভিক্টিম জানায়, সালাম তাকে মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে সংসার ভেঙ্গেছে আগেই। গত দুইদিন ধরে সে তাকে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কুমিরা এলাকায় এনে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ভিক্টিম এর বিচার দাবী করেন।
পাটকেলঘাটা থানার ওসি আলহাজ্জ মো: নাজমুল হুদা জানান, এঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৯ তাং (২৫-৮-২০২১)। বুধবার (২৫আগষ্ট) সকালে ভিক্টিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার সহ জবানবন্দির জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও কোর্টে পাঠানো হয়। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।