পাহাড়ে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা প্রয়োজন- তা করা হবে। যারা অশান্তি সৃষ্টি করবে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এদের পরিণতি কোনভাবে ভাল হবে না। পাহাড়ে কোন খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না।’ বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নিয়ে তিন পার্বত্য জেলার সাংসদ, চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কারবারিদের নিয়ে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভায় এ কথাগুলো বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। যাকে তাকে হত্যা করা হচ্ছে। কেউ মামলা করতে যাচ্ছে না। সাক্ষী দিতে যাচ্ছে না। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ হতে দেয়া হচ্ছে না। কয়েকজনের স্বার্থে পাহাড় অন্ধকারে থাকবে- এটি সরকার প্রত্যাশা করে না।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ে শান্তি সুবাতাস বইতে শুরু করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে পাহাড়ে হঠাৎ করে রক্তপাত শুরু হয়। পাহাড়ে অশান্তি তৈরি হোক- এটি প্রধানমন্ত্রী চান না। এটি কিভাবে বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে পার্বত্য এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত গ্রহণ করা জরুরি। তাদের সবার মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। তার নির্দেশনায় পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করার দরকার তা করা হবে।’
চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, ‘একমাত্র প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। তার প্রতি পাহাড়ের মানুষের আস্থা বিশ^াস আছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের স্ব-স্ব বিভাগ তাদের দায়িত্ব যথাযতভাবে পালন করলে পাহাড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হবে না।’
সভায় আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে দেখা যায়নি। তার এক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ শিং বলেন, ‘এ সভায় আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি।’
সভাটির সভাপতিত্ব করেন- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ শিং।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল উদ্দিন আহমদ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহুল ইসলাম, রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ি সংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মহিলা সাংসদ বাসন্তি চাকমা, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমদ, বিজিবি মহাপরিচালক সাফিনুল ইসলাম, পুলিশের মহাপরিচালক ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখ, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক, তিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক, তিন জেলার সেনা রিজিয়ন কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার, তিন পার্বত্য জেলার বিজিবি সেক্টর কমান্ডার ছাড়াও তিন জেলার সকল, উপজেলা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা।