শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন,ক্রসপন্ডেন্ট দেশ টিভি: দাম্পত্য কলহে স্ত্রীকে হত্যা করে লেট্রিনের (পায়খানাঘরের) সেফটি ট্যাংকিতে লাশ গোপন করে থানায় জিডি করেও রেহাই পেলো না স্বামী। লাশের গন্ধে টের পেয়ে গেলো প্রতিবেশীরা। স্বামীকে নিয়ে পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হলো লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব সোনাতলা গ্রামে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন বলেন, উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোনাতলা গ্রামের কাঁলাচাঁদ কারিগরের ছেলে শহীদুল ইসলাম ১৭ নভেম্বর রবিবার থেকে স্ত্রী মারুফা বেগম (২৬)কে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে থানায় ১৯ নভেম্বর একটি জিডি করেন। কিন্তু তার কথাবার্তায় শুরু থেকে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্ত কাজ চালাতে থাকে। এরমধ্যে (আজ) বুধবার তার বাড়ি থেকে একটু দুরের পুকুরের পাশের লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকি থেকে উৎকট গন্ধ আসতে থাকলে। স্থানীয় সোর্সদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায় এবং লুকিয়ে রাখা নিহত স্ত্রী’র লাশ লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করে।
ওসি দেলোয়ার জানান, হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে পরিচালিত অভিযানে সবার সামনে ঘাতক স্বামী শহীদুল (৪৮) স্বীকার করে স্ত্রী মারুফাকে সে জিডি করার আগের দিন গলায় দড়ি পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গোপন করতে লেট্রিনের সেফটি ট্যাংকিতে লুকিয়ে রাখে। শহীদুল ইসলামের আগেও একটি স্ত্রী ছিল। সে স্ত্রীও দাম্পত্য কলহে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সেখানেও তার দুটি সন্তান আছে। নিহত মারুফারও পাঁচ বছরের একটি ছেলে আছে। শহীদুল পেশায় একজন ভাজা খাবারের ব্যাবসায়ী।
ওসি দেলোয়ার আরও জানান, মারুফা হত্যা ও লাশগুমের ঘটনায় মামলার জন্য আইনী কার্যক্রম অব্যাহত আছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মারুফার লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করে। ফলে উদ্ধারের ঘটনায় সাধারণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে।