২০১৮ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ধর্ষণ বেড়েছে ১২২ শতাংশ। ২০১৮ সালে ৭৩২, ২০১৯ সালে ১ হাজার ৪১৩, ২০২০ সালে ১ হাজার ৬২৭ এবং ২০২১ সালে ১ হাজার ৩২১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।৮০ শতাংশ মেয়ে কোন না কোনভাবে লাঞ্চিত হন।এখন এখানে সবাই পোশাকের জন্য ধর্ষণের স্বীকার।
বাংলাদেশে প্রতি লাখে ১০জন ধর্ষণের শিকার হন। তার মধ্যে দুজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।মাদ্রাসার শিক্ষার্থী কিভাবে ধর্ষণের শিকার হয়।সে তো বোরকা পরে।
১০ আগস্ট সোনাগাছীতে ছয় বছরের মাদ্রাসা পড়া শিক্ষার্থী ধর্ষনের স্বীকার। প্রথমত ছয় বছরের একজন শিশু কে দেখে সিডিউস হয়ে গেলেন?আর তার থেকে বড়ো কথা তার পরনে ছিলো হিজাব।ছয় বছরের শিশু হিজাব পরিহিত অবস্থাতেও নিরাপদ না।
২৩আগস্ট ২০২২ নওগাঁয় চা বিক্রেতা দ্বারা শিশু ধর্ষন।১৭ই জুলাই ঢাকায় শিশু ধর্ষণ বয়স চার।২৬শে আগস্ট ২০২২ লক্ষীপুরে ৭০বছরের বৃদ্ধা ধর্ষণ।জুন ৩, ২০২২ ময়মনসিংহের ৬৫বছরের নারী ধর্ষণের স্বীকার।
এই বৃদ্ধ কিংবা শিশুরা কি এমন পোশাকের মাধ্যমে আপনাকে উত্তেজিত করলো? তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয় কোনো একজন নারী চরিত্রগত দিক দিয়ে খারাপ তাই ছোট পোশাক পরেছে।আপনি তো ভালো আপনি কেন তার দিকে তাকান? কোনো নারী নিশ্চয় কোনো পুরুষকে তার পোশাক দেখার জন্য বাধ্য করে না।আর যদি ধর্মের কথা বলা হয় তবে ইসলাম ধর্মে নারীর পোশাকের কথা বলার আগে বলা আছে নিজের দৃষ্টি সংযত রাখার কথা।
সুতরাং পোশাক কোনো ভাবেই ধর্ষণের কারণ হতে পারে না।একজন কি পরিধান করবে,কি খাবে সেটা তার মৌলিক অধিকারের মধ্যে বর্তায়।আর যদি সাংস্কৃতির কথা ধরি ছেলেদের তাহলে হাফ প্যান্ট, জিন্স, ম্যাগি হাতা গেঞ্জি এগুলো পরাও উচিৎ নয়।
লেখক : হুমায়রা আফরিন তিষা, প্রতিবাদী শিক্ষার্থী, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ।