হাসান উল্লাহ : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ত্রাণের সুষ্ঠু বণ্টন হবে। ত্রাণ নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেললে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে। একই সাথে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই যাতে ত্রাণ পায় সেটাও নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার থেকে ট্যাগ অফিসাররা ডোর টু ডোর ভিজিট করে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও তালিকা তৈরি করবে। এজন্য তারা ক্ষয়ক্ষতির ছবিও তুলবে।
সোমবার রাতে সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সহায়তা পায়, সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
তিনি দুর্যোগ সংক্রান্ত সঠিক তথ্য উপাত্ত পরিবেশনের আহবান জানিয়ে বলেন, ভুল তথ্য দিলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এজন্য সঠিত তথ্য উপাত্ত সরবরাহে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল আরও বলেন, দুর্যোগের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে প্রস্তুতির গ্যাপগুলো পূরণ করা যায়। কিন্তু প্রতিবারই দুর্যোগ আসে নতুন করে। যা নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম দেয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, সাতক্ষীরা জেলা উপকূলীয় এবং দুর্যোগপ্রবণ। এজন্য সাতক্ষীরার মানুষের নিরাপত্তা ও দুর্যোগকালীন আশ্রয়ের জন্য ২০০ সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের লিখিত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে জেলায় একাধিক মুজিব কিল্লা গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবন আমাদের রক্ষায় মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ঠিক যেমনটি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন দুর্যোগকালীন একটি মানুষও যাতে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রের বাইরে না থাকে।
প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক জানান, ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ৩০ লাখ টাকা ও ১ হাজার বান্ডিল টিম বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আমাদের নতুন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করবেন।