বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেওয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বুলারাটি গ্রাম থেকে এক যুবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সাতক্ষীরা পৌসভার ১ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান বাদী হয়ে সোহানা পারভিন নামের এক নারী ও অজ্ঞাতনামা আরো একজনসহ মোট দুই জনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেপ্তাকৃত যুবকের নাম কামাল হোসেন ওরফে বাবু (২৫)। সে সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বুলারাটি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। পেশায় সে একজন ফ্যাক্স ফোনের দোকানদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোহানা পারভিনের ফেসবুব আইডি থেকে গত ১৩ জুন রাত সাড়ে ১০ টায় একটি আপত্তিকর ষ্ট্যাটাস পোস্ট করেন।
তার ফেসবুকে যে ষ্ট্যাটাস দেয়া হয়েছিল তা হুবহু তুলে ধরা হলো,
“আজকে দুই উকেট পড়লো, আরো ২/৪ টি পড়ে গেলে এ জাতি হয়তো কিছুটা শান্তি পাবে, এ দেশের মাটি আর পারতেছেনা ওই পাপীদের বার সইতে”।
উক্ত আসামী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ এম মুনছুর আলীর সুযোগ্য সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র সাবেক মন্ত্রী মোহাম্ম নাসিম এবং ধর্মমন্ত্রী শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ যেদিন মারা যান সেই দিনই তাদের সম্পর্কে উক্ত কটুক্তি মন্তব্য করেন। ইহাতে এলাকায় জনরোষের সৃষ্টি হয় । যে কোন সময় উক্ত বিষয় নিয়ে সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া এই ষ্ট্যাটাস নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
যা তার (ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান) দৃষ্টি গোচর হলে তিনি বাধ্য হয়ে সোহানা পারভিনসহ উক্ত দুই জনের নামে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই প্রদিপ কুমার সাহা মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে ভোররাতে উক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেন।
সাতক্ষীরা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামীর কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে সোহানা পারভিন নামের ওই নারীর মোবাইলটি গ্রেপ্তারকৃত আসামীর কাছে থাকায় সে তার আইডি ব্যবহার করে এই ষ্ট্যাাটাসটি দিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.