নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী আজ শনিবার। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাশ করা কয়েক হাজার নবীন প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হবে বিদ্যালয়ের মাঠ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
রাতে মঞ্চে গান পরিবেশন করবেন সাবিনা ইয়াসমিন। সাতক্ষীরার দুটি স্যাটালাইন চ্যানেল পুরো অনুষ্টান সরাসরি সম্প্রচার করবে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিদ্যাপীঠটির প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার শীতল প্রসাদ রায়। বিদ্যালয়টি জুনিয়র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি বল্লী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৭৪ হতে ১৯৭৭ সালের মধ্যে শিক্ষা বোর্ড কতৃক প্রতিষ্ঠানটি পর্যায়ক্রমে বিজ্ঞান, বানিজ্য ও কৃষি বিভাগ খোলার অনুমতি পায়, সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের পন্ডিত বাড়ির সন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি এ,বি,এম মোশাররফ হোসেন তৎকালীন ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের মূল ভবন নির্মান করেন। ফলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসীর অতি উৎসাহ এবং প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এ,বি,এম মোশাররফ হোসেনের পিতা মোঃ মুজিবুর রহমান সাহেবের নামে ১৯৮৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যশোগর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিদ্যালয়টির নামকরণ অনুমোদিত হয়। সে সময় হতে প্রতিষ্ঠানটি বল্লী মোঃ মুজিবুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে আখ্যায়িত হয়।
স্থানীয় জানা, স্কুলের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে স্কুলকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার বিভিন্ন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্কুলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন। অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্কুলের নতুন পুরাতন শিক্ষাথীদের মিলনমেলা সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন হওয়ার পরে দিনভর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাতে সাবিনা ইয়াসমিনের একক সংগীতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্কুলের প্রঙ্গনের বাহিরের মানুষ দেখার জন্য বিভিন্ন প্রজেক্টরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।