বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকায় হোসনে আরা বেগম (৬০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ভাইসহ তিন তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহফুজ আবজালের নেতৃত্বে একটি দল শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া তিন তরুণ হলেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গোবাড়িয়া গ্রামের বাবুল শেখের দুই ছেলে মো. রিয়াজ শেখ (২২) ও মো. রিয়াদ শেখ (২০) এবং একই গ্রামের ইউনুস তালুকদারের ছেলে মো. মিরাজুল ইসলাম পাপন (১৯)। এদের পরিবার প্রায় একযুগ আগে জীবিকার তাগিদে মোরেলগঞ্জ থেকে বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিল। এরা পেশায় রাজমিস্ত্রি ও অটোরিকশা চালক।
ঘটনার রাতে গৃহবধূ হোসনে আরা বেগম এই তরুণদের চিনে ফেলায় তারা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় তার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ২১ মার্চ রাতে শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকায় হোসনে আরা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ফরিদ বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত হোসনে আরা বেগম বাগেরহাট শহরের দক্ষিণ সরুই এলাকার গণপূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিমের স্ত্রী।
পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, এই তিন তরুণ হোসনে আরা বেগমের বাড়িতে চুরির পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ মার্চ রাতে ওই বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে যাওয়ার পর হোসনে আরা বেগম তাদের চিনে ফেলে। এর তারা তাকে প্রথমে মাথায় আঘাত করে। পরে তারা হোসনে আরা বেগমকে স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে হত্যা করে। এরপর ঘরের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।