জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির অস্তিত্বে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেন, বহুবিধ গুণে গুণান্বিত বঙ্গবন্ধু। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা করতে হবে।
রবিবার বিকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশব্যাপী ৬৬১টি থানায় এ উদযাপন অনুষ্ঠান হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সামাজিক রাষ্ট্রীয় ঐক্য নিয়ে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার পাঠক নিয়ে অনেক বিনোদন দেখা যাচ্ছে। এক ধরনের তামাশা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অগ্রযাত্রায় শ্রম ও ঘাম রয়েছে। এই অগ্রযাত্রার পথ সহজ ছিল না।
বক্তব্যে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে সেসময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলাম। দারিদ্রের কঠোর রূপ দেখেছি। ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়েছিল তখনকার জনগণ।
‘এসব দারিদ্রতার ইতিহাস মনে পড়লে এখনও শিহরিত হই। আর এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। আধুনিক বাংলা রূপান্তর করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্ভাবনাকে বাস্তব করতে ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্যকে তলানি করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
এই উদযাপন অনুষ্ঠানটিকে ‘দারিদ্র্যের শেকল ভাঙার উৎসব’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার) কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তির কামনা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।