বাল্য বিবাহ দেওয়ার সময় সাতক্ষীরা শহরে রেশমা আক্তার নামক এক মা কে এক দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন মোবাইল কোর্ট।শুক্রবার সন্ধায় সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিসবট্রেট ও নির্বাহী অফিসার জনাব দেবাশীষ চৌধুরী এ সাজা প্রদান করেন।
সূত্র জানায়,শুক্রবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে খবর আসে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের সামনে এক বাড়িতে ঢাকঢোল পিটিয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মেয়েকে তার মা জোরপূর্বক বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন।বর পক্ষ আসবে আর কয়েকঘন্টার মধ্যে।তারই মধ্যে সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী সাতক্ষীরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো:মোস্তাফিজুর রহমান কে সাথে নিয়ে ছুটে যান সেই বিয়ে বাড়ি।গিয়ে দেখেন অষ্টম শ্রেনীর মেয়ে (ছদ্ম নাম) মেঘা কে বৌ সাজানো হচ্ছে, বিয়ের সাড়ি পরানো হচ্ছে।এক কথায় বিয়ের সকল আয়োজন প্রায় শেষ। এসময় নির্বাহী অফিসার মেয়েটির কাছে প্রশ্ন করেন মা তুমি কি বিয়ে করতে রাজি? মেয়েটি বলেন না স্যার,, আমার মা জোর পূর্বক বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। পরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী অফিসার সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মেয়ের মা রেশমা আক্তার, স্বামী:রবিউল ইসলাম, গ্রাম: সুলতানপুর,সাতক্ষীরা কে বাল্যবিবাহ আইনের ধারা অনুযায়ী এক দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এবিষয় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী আপডেট সাতক্ষীরা কে বলেন,বার বার চেষ্টা করেও বাল্যবিবাহ থেকে অশিক্ষিত ও অসচেতন মা দের কে ফিরিয়ে আনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার পরেও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সদর উপজেলা প্রশাসনের অভিযান সব সময় অব্যহত থাকবে। তিনি আরো বলেন বাল্য বিবাহের আয়োজন দেখলে আমার কাছে ফোন দিয়ে জানাবেন ০১৩০৯-৫১৩৫৭২ নাম্বারে।আমি কথা দিচ্ছি তথ্যদাতার পরিচয় গোপন থাকবেন।তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করার লক্ষে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এখান থেকে ৩-৪ দিন আগে নাবালক মেয়েটির মা রেশমা আক্তার তার মেয়েকে ১৮ বৎসরের আগে বিবাহ দেবেন না বলে উপজেলা শিশু ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে মুচলেকা দিয়ে আসেন।মুচলেকা দেওয়ার ৪ দিনের মাথায় মেয়ের মা পূনরায় বাল্য বিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করলে সদর উপজেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এই সাজা প্রদান করেন।