জাতীয় শোক দিবসে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টায় নগরের চট্টগ্রাম শিল্পকলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) একটি চৌকষ দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের নেতৃত্বে বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোসেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাহাবুদ্দিন, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে সর্ব সাধারণের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতাকে স্মরণ চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের রাজনীতিক, পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ফুলে ফুলে ভরে উঠে শিল্পকলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে স্থাপন করা জাতির পিতার প্রতিকৃতি।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর চট্টগ্রাম শিল্পকলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইকবাল হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।
পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে আরও শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ দেশবরেণ্য সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি ও তার মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ শিশুপুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুলাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু ও বঙ্গবন্ধুর জীবনরক্ষায় এগিয়ে আসা প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় এই শোকের দিনে শনিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি।