বিভিন্ন আভিযানে সাহসী ভূমিকা রাখায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) ৫৯ জন সদস্য বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৮ সালের বিভিন্ন অভিযানে সাহসিকতার কারণে ‘সাহসিকতা’ ও ‘সেবা’ দুই ক্যাটাগরিতে তাদের পুরস্কৃত করেন এলিট এই ফোর্সের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
মঙ্গলবার র্যাব সদর দফতরে সংস্থাটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরস্কার ঘোষণা ও বিজয়ীদের সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে ৫৯ জন র্যাব সদস্যের মধ্যে ৩৪ জনকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার (সাহসিকতা) এবং ২৫ জনকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার (সেবা) প্রদান করা হয়।
এছাড়া যে সকল র্যাব সদস্য দেশের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করে তাদেরকে বিশেষ উপহার প্রদান করেন র্যাবের ডিজি। এছাড়া অনুষ্ঠানে জঙ্গি, মাদক, অস্ত্র ও সার্বিকভাবে এই ৪টি ক্যাটাগরিতে র্যাবের বিভিন্ন ব্যাটালিয়নকে পুরস্কৃত করা হয়। জঙ্গি সংক্রান্ত অভিযানিক সাফল্যের উপর ভিত্তি করে প্রথম স্থান অধিকার করে র্যাব-১৩, ২য় স্থান র্যাব-৫ এবং ৩য় স্থান র্যাব-১১।
মাদক বিরোধী অভিযানে ১ম স্থান অধিকার করে র্যাব-৭, ২য় স্থান র্যাব-৫ এবং ৩য় স্থান র্যাব-১।
অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে ১ম স্থান অধিকার করে র্যাব-৭, ২য় স্থান র্যাব-৮ এবং ৩য় স্থান র্যাব-৫।
এছাড়া সার্বিকভাবে ১ম স্থান অধিকার করে র্যাব-৭, ২য় স্থান র্যাব-৫ এবং ৩য় স্থান র্যাব-১৩।
র্যাব প্রধান তার বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় র্যাবকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গি দমন, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী ও মাদকের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনাসহ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করার র্যাবর সব সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন বেনজীর আহমেদ। এর আগে মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় পতাকা ও র্যাব ফোর্সেস’র পতাকা উত্তোলন এবং গার্ড অব অনারের মাধ্যমে র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ৮টায় আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষা করতে গিয়ে জীবন দেয়া সদস্যদের স্মৃতি স্মরণে র্যাব সদর দপ্তরে নির্মিত স্তম্ভ ‘প্রেরণা ধারায়’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন র্যাবের ডিজিসহ অন্যান্যরা। পরে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও তরজমার মাধ্যমে র্যাবের মহাপরিচালকের বিশেষ দরবার শুরু হয়।