সাতক্ষীরা প্রবীণ আবাসন কেন্দ্র বৃদ্ধাশ্রমে নববর্ষ উপলক্ষে প্রবীণদের জন্য ইফতার ও সুখবর নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ভোরের পাতা ও দ্য পিপলস টাইমের সম্পাদক ও প্রকাশক, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য, এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকাল ৫ টায় তিনি সুখবর হিসেবে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য সরকারিভাবে জায়গার ব্যবস্থা ও ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
২০১৫ সালের ১ জুলাইয়ে ‘নবীনদের উদ্যোগে প্রবীণদের জল দান, ক্ষুধার্তকে অন্ন, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দান, ইহাই মানব ধর্ম’ স্লোগান নিয়ে আরা সংস্থার উদ্যোগে হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল বৃদ্ধাশ্রমটি। প্রথমে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের পেছনে ৩ কাটা জমির ওপর স্থাপন করা হলেও স্থান স্বল্পতার কারণে পরে এটিকে শহরের মাগুরা এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। ২৫ কাঠা জমির ওপর সেই বৃদ্ধাশ্রমের জন্য প্রতি মাসে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া পরিশোধ করতে হয়।
স্থাপনের পর থেকেই নানা টানাপোড়েনে চললেও বৃদ্ধাশ্রমটি সাতক্ষীরা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর অসহায় প্রবীণদের শেষ বয়সের ঠিকানা হয়ে উঠেছে।
বৃদ্ধাশ্রমটির দেখভালের দায়িত্বে আছেন নজরুল ইসলাম। বৃদ্ধাশ্রমটির বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তির সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে চলছে বৃদ্ধাশ্রমটি, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
তিনি আরও জানান, করোনার শুরুর সময় বৃদ্ধাশ্রমটিতে ১৬ জন প্রবীণ আশ্রিত ছিলেন। এর মধ্যে চারজন মারা যান। তবে করোনার মধ্যে এখানে আরও ১০ প্রবীণ আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমে আছে ২২ জন।
এদিকে বৃদ্ধাশ্রমে নববর্ষ উপলক্ষে প্রবীণদের জন্য ইফতার নিয়ে হাজির হন ড. কাজী এরতেজা হাসান (সিআইপি)। এসময় তিনি বৃদ্ধাশ্রম এর খুটিনাটি বিষয়ে সুবিধা অসুবিধার কথা জানতে চান। তিনি জানতে পারেন বৃদ্ধাশ্রমটি ভাড়া নিয়ে চলছে।
প্রবীনদের সাথে কথা বলে এক পর্যায়ে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে যায়। এসময় তিনি সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য সরকারিভাবে একটি স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করেন এবং নিজ অর্থায়নে বৃদ্ধাশ্রমের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম খান বাবু, পৌর যুব লীগের সভাপতি মোনয়ার হোসেন অনু, যুবলীগ নেতা তুহিন, জুবায়ের প্রমুখ।