বেনাপোল-ঢাকা আন্ত:নগর বিরতিহীন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটি উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
উদ্বোধনের পর বেলা সোয়া ১টায় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রধান মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বেনাপোলে একজন শিক্ষার্থী ও একজন সুবিধাভোগীর সাখে সরাসরি কথা বলেন।
এ উপলক্ষে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। প্ল্যাটফর্মের ওপরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হরেক রকম ফুল দিয়ে গোটা ট্রেনটি সাজানো হয়েছে নান্দনিক সাজে ।
বেনাপোলে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ গ্রহন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন ও সাংসদ মেজর জেনারেল মো. নাসির উদ্দীন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বেনাপোল থেকে ঢাকা পর্যন্ত শোভন চেয়ারের টিকিটের মূল্য ৪৮৫ টাকা, এসি (শীতাতপনিয়ন্ত্রিত) চেয়ার ৯৩২ টাকা, এসি সিট ১ হাজার ১১৬ টাকা ও এসি কেবিন ১ হাজার ৬৭৪ টাকা। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন ও যশোর রেলওয়ে জংশন থেকে টিকিট বিক্রি হয়।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. সাইদুজ্জামান বলেন, গতকাল প্রথম পাঁচ ঘণ্টায় এই স্টেশন থেকে শোভন চেয়ারের ১৪টি ও এসি চেয়ারের ১৮টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনের এই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে ২২ জুলাই থেকে।
এই ট্রেনে যাত্রীদের জন্য দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। রেলওয়ে থেকে যাত্রীদের সেবার জন্য ‘রেলওয়ে ক্যাটারিং সার্ভিস’ নামে নতুন একটি সেবা চালু করা হয়েছে। সুলভ মূল্যে ট্রেনের ভেতরে ভালো মানের খাবার সরবরাহ করা হবে। প্রথম দিন থেকেই এ সেবা চালু থাকছে। এটি কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কেউ ইচ্ছা করলে না নিতেও পারেন। পর্যটন করপোরেশন থেকে এই খাবার এনে ট্রেনের ভেতরে সরবরাহ করা হবে।
৮৯৬টি আসনের এই ট্রেন প্রতিদিন বেলা সোয়া একটায় যশোরের বেনাপোল রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে। যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছে ১৫ মিনিটের বিরতি নেবে। সেখানে যাত্রী ওঠানোর পাশাপাশি রেলের ইঞ্জিন ঢাকামুখী ঘোরানো হবে। এরপর ঈশ্বরদী গিয়ে ট্রেনের চালকসহ অন্যান্য কর্মী বদলের জন্য আরও ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। পরে ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে শেষ গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। তবে তার আগে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রী নামানোর জন্য কিছুক্ষণ ট্রেনটি থামানো হবে।
দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ১০/১২ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাতায়াত করে থাকে। বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসা আধুনিক এই ট্রেনের বগি ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। আসনগুলোও আধুনিক। প্রতিদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রেনটি বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে।
বর্তমানে যশোর থেকে ঢাকায় যে ট্রেন সেবা চালু রয়েছে, সেটি ১৪টি স্থানে বিরতি নেয়। এতে যশোর থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সেখানে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সময় নেবে ৭ ঘণ্টা। আর যশোর থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে বেনাপোলে পৌঁছে যাবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.