মসজিদে এসি বিস্ফোরণে নিহতদের লাশ স্বজনরা যেভাবে চাইবেন সেভাবেই দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াও লাশ বুঝিয়ে দেয়া হবে।
শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে হতাহতদের দেখতে এসে একথা বলেন নারায়ণগঞ্জের এসপি।
জায়েদুল আলম বলেন, মরদেহ নিহতদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ মিলে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবেই মরদেহ হস্তান্তর করবো। মরদেহ শাহবাগ থানা পুলিশের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ঘটনাস্থল (মসজিদ) আমরা পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হয় সেখানে এসি বিস্ফোরণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মসজিদের মোট ছয়টি এসি ছিল। সবগুলো বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে মসজিদের সবগুলো কাঁচের জানালা ভেঙে যায়। আগুনে মসজিদের সিলিং ফ্যানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
জায়েদুল আলম আরও জানান, আহত ও নিহতদের সহায়তার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই তাদের সহায়তা দিচ্ছি। এই ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নারায়ণগঞ্জের এসপি আরও বলেন, ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ), তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন স্টেশন অফিসার রয়েছেন।
জায়েদুল আলম বলেন, কী কারণে মসজিদের এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় ৩০৪ ধারায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার রাতে এশার নামাজের সময় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৩৭ জন দগ্ধ হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র: ঢাকা টাইম্স।