রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা এলাকার সড়কে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মাটি খননের সময় মর্টারশেল উদ্ধার করে র্যাপিড আ্যকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলছে, মর্টারশেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরনো। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। মর্টারশেলটি ছিল সক্রিয় এবং বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্লিন্টারের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত।
বোমাটি উদ্ধারের পরে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গোড়ান চটবাড়ি এলাকায় নিয়ে ডিসপোজাল (বিস্ফোরিত) করে র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এ সময় আশপাশের আধা কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার লোকজনকে সড়িয়ে নেয়া হয়।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডস্থ মর্টারশেল উদ্ধারের ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান, র্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডস্থ একটি বাসার খনন কাজ করার সময় মর্টালশেল পাওয়া যায়। প্রথমে র্যাব-৪ মর্টার শেলের খবর পেয়ে র্যাব সদরদপ্তরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই মর্টার শেলটি ৬০ মিলিমিটার। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না। এটি দীর্ঘদিনের পুরনো। তবে এটি সক্রিয় এবং বিস্ফোরণের ফলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিল।
তিনি বলেন, খননকৃত মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি আরও কোনো বোম রয়েছে কিনা। তবে আমরা আর কোনো বোমের সন্ধান পাইনি।
বোমটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো। এমন প্রশ্নে মেজর মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে। একটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তীতে মাটির নিচে কেউ পুতেও রাখতে পারে। বোমটির গায়ের লেখাগুলো দেখা যাচ্ছে না তাই প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরী।
মর্টার শেলটি সক্রিয় কিনা জানতে চাইলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এই কর্মকর্তা বলেন, মর্টার শেলটির ভেতরে এক্সপ্লোসিভ রয়েছে। হয়তো দূর থেকে এটি ফায়ার করা হয়েছিল এখানে এসে পড়েছিল। সুতরাং এটি আংশিকভাবে সক্রিয় থাকার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নাড়াচাড়া করলে অথবা বাইরের বল প্রয়োগ করলে বিস্ফোরিত হতে পারতো।
বিস্ফোরিত হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মর্টার শলটির আয়তন ৬০ মিলিমিটার। বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো। বোমটি উদ্ধারের পর নিরাপদ দূরত্বে রেখে দেয়া হয়েছিল। যাতে এর আশেপাশে কেউ প্রবেশ করতে না পারে৷ সঙ্গে র্যাবের টহল ইউনিটও ছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.