সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে মাত্র তিনজন ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট । যানজট নিরসনকল্পে তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহন করেছেন। সকালে দুইজন সার্জেন্ট এবং একজন ট্রাফিক কন্সটেবল নিয়ে শুরু হয় তাদের কর্মব্যস্ততা, যা গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
চিটাগাংরোডের ট্রাফিক পুলিশবক্সের টিআই (প্রশাসন) তসলিম মোল্যার কাছে বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, পুরো নারায়ণগঞ্জে মাত্র ৩৬ জন ট্রাফিক পুলিশ কন্সটেবল আছে। কাজের তুলনায় এই সংখ্যা অপ্রতূল্য। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মত গুরুত্বপূর্ন জায়গায় এই সংখ্যা মাত্র তিনজন। যানজট নিরসনের কাজটি কঠিন হওয়া সত্ত্বেও তারা সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে জানায় টিআই তসলিম।
তিনি আরো বলেন, নিজেদের ক্লান্তির চাইতেও জনকল্যানই আমাদের কাছে মূখ্য বিষয়। যাত্রীদের সুবিধার্থে যানজট নিরসনের বিভিন্ন কৌশল আমরা অবলম্ভন করছি। এর ফলে আমরা শারীরিক এবং মানসিক দুইভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। স্বরজমিনে চিটাগাংরোড ঘুরে দেখা যায়, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট এবং কন্সটেবল মিলে ধূলোবালি, রোদের মধ্যেও নিরলস ভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। পথচারী থেকে শুরু করে পরিবহনের চালকরা জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তসলিম মোল্যা চিটাগাংরোডে যোগদান করার পর থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যানজন অনেক কমে গেছে। চিটাগাংরোড ট্রাফিক পুলিশের কর্মকান্ডে সকলেই সন্তুষ্ট। তাদের সম্মিলিত প্রয়াসে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। ট্রাফিক পুলিশের সফলতার পিছনে কাজ করছে তাদের কর্মদক্ষতা এবং Ti তসলিমের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব। এই কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অচিরেই যানজট মুক্ত সড়কে পরিনত হবে।