★★★★
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
অবাস্তব মনে হলেও বিষয়টি সত্য। সব জেলার ন্যায় এবার নড়াইলেও মাত্র ১০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করেই বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত সদস্য হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলো যোগ্য প্রার্থীরা। শারীরিক যোগ্যতা, মেধা ও দক্ষতার মাধ্যমেই লুফে নিলো এ গর্বিত চাকুরি। আর বিনা উৎকোচে যোগ্য প্রার্থীরা কাঙ্খিত চাকুরিতে যোগদানের সুযোগ পেয়েছে শুধুমাত্র নড়াইলে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর জন্য।
নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণাকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রত্যেকটি ধাপে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। যার ফলে নড়াইল জেলায় পুলিশ নিয়োগে এবার নিয়োগ বাণিজ্য সম্ভব হয়নি। আর এতে সন্তুষ্ট নিয়োগ প্রত্যাশীরাও। যারা নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েছে তাদেরও কোন অভিযোগের জায়গা নেই। কারণ তারাও বুঝে গিয়েছে কোন না কোন সমস্যার কারণেই তাদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার তৃতীয় দিনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম নিজে উপস্থিত থেকে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেন। বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) সকালে মৌখিক পরীক্ষার সময়ও তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন। কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে যাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালিত হয় সেদিকেও তিনি সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের পর গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট এক সাক্ষাৎকারে নড়াইলে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম বলেন, পুলিশ নিয়োগে ঘুষ প্রথা প্রচলিত আছে। আর এই প্রচলনকে বিলুপ্ত করতে আমার এ অভিযান। শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে নড়াইলে এবার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সকল নিয়োগ একইভাবে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ ছাড়া সকল চাকুরি প্রত্যাশীকে দালালের কবল থেকে দূরে থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।