★★★★
সিটিজেন জার্নালিস্ট(জিমি):
গোপালগজ্ঞে জেলার ইতিহাসে এটাই প্রথম যে কোন প্রকার অনিয়ম ও ঘুষ ছাড়াই মাত্র ১০০ টাকার ব্যাংক ড্রার্ফ করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে গোপালগঞ্জে ৮১ জন কে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৬৯ ও নারী ১২ জন। ঘটনাটি অবাস্তব মনে হলেও এবার এটি সত্য ঘটনা। গত ৪মার্চ গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স মাঠে বাছাই শেষে ১১ মার্চ চুরান্ত ভাবে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়। এ সময় কনস্টেবল নিয়োগে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্স এর মাঠে শত শত তরুণ ছেলে মেয়েরা নিয়ম অনুযায়ী শারীরীক পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা ও ভাইবা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে থাকেন। এসময় পুলিশ সুপার প্রত্যেক পুরুষ আবেদনকারীকে নিজে উচ্চতা সহ অন্যান্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।
এর আগে কনস্টেবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে একটি সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। সতর্ক বার্তায় সবাইকে হুশিয়ার করে বলা হয়, কনস্টেবল নিয়োগ মেধা ও যোগ্য ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হবে। কোন রকম তদবীর করলে সেই প্রার্থী বাতিল বলে গণ্য হবে, কোন প্রকার কারো সাথে আর্থিক লেন দেন না করার জন্য বলা হয়। নিয়োগের বিষয়ে কোন পুলিশের লোক টাকা চাইলে সাথে সাথে পুলিশ সুপারের সরকারি মোবাইল নাম্বারে ০১৭১৩ ৩৭৩৫৬৯ নাম্বারে ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলেছিলেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান।
এদিকে বিনা ঘুষে, বিনা টাকায় ৮১ জন লোককে পুলিশে চাকুরী দেওয়ায় জেলার সুশিল ও সুধী সমাজ বলছে, এটি গোপালগঞ্জের একটি নজির বিহীন ঘটনা। এতে করে যোগ্য ব্যক্তিরা পুলিশে চাকুরী পেলেন। আগে পুলিশের চাকুরীতে ঢুকতে অনেক টাকা ঘুষ দিতে হতো বলে অভিযোগ ছিল। কিন্তু নবনিযুক্ত আইজিপি ডা.জাবেদ পাটোয়ারী (পিপিএম) মহোদয়ের নির্দেষনা মোতাবেক সারা জেলার ন্যায় গোপালগজ্ঞেও বিনা টাকায় ও বিনা তদবীরে ৬৯ জন পুরুষ কে ও ১২ জন নারীকে কনস্টেবল পদে চাকুরী দেওয়া হয়েছে বলে যানা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.