মাদকের গডফাদার ও মাদক ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ভালো হয়ে যান, নইলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে। দেশ থেকে মাদক সম্পূর্ণরূপে নির্মুল করা হবে।
তিনি বলেন, মাদকের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকের ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্স ভূমিকা পালন করছে।
রোববার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার নাপিতের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মাদকবিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বলেন।
পুলিশ বাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দাবি করে তিনি বলেন, মাদকের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়া হবে। তারা ভালো না হলে অবশ্যই পুলিশ তাদের নির্মুলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, প্রত্যেক জেলা হাসপাতালে মাদক সেবীদের সুস্থ করে তুলতে আলাদা বেড থাকবে। তাদেরকে সুস্থ করে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে জনগণকেও তাদের ভালো করার জন্য ভূমিকা পালন করতে হবে। ফলে তাদের ছেলেমেয়েরাও মাদকমুক্ত থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্থানীয় সাংবাদিকরা সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, চাঁদাবাজি অবশ্যই বন্ধ হবে।
মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে পুলিশ নজির স্থাপন করেছে। তিনি এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে সহযোগিতার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, সুন্দরগঞ্জের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী প্রমুখ।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার আতা, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এলাকার ২০ জন মাদক ব্যবসায়ী ও ৫০ জন মাদকসেবী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ফুলছড়ি থানার তিনতলা নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। এছাড়া ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়ায় জনগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একটি ভবন নির্মাণের ভিত্তি স্থাপন করেন।
বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গাইবান্ধার পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া সভাপতিত্বে জেলার বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।