'বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাঝে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি দেখছি । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ম্যাজিক।'
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান চেস কাউন্সিলের সভাপতি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) আজ (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ড মাস্টারস দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ সভাপতি চৌধুরী নাফিজ সরাফত। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। ফেডারেশনের সদস্যগণ এবং দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, প্রধানমন্ত্রী একটানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দেশকে একটি অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। এক সময় প্যারিস কনসোর্টিয়ামে ৭২ মিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আমাদেরকে দেনদরবার করতে হয়েছে। এখন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন ডলার, সুদানকে ঋণ দিয়েছে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলার। তিনি এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ৪৫ ভাগ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করতো। এখন ৯ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার মধ্যে বসবাস করছে। এক সময়ে আমরা বলতাম বিদ্যুৎ আসবে কখন, এখন আমরা সেই কথা ভুলে গেছি। এক সময় বাংলাদেশ ছিল বঞ্চনার দেশ, বাংলাদেশ ছিলো রোগ-শোকের দেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুঃসাহস, প্রজ্ঞা ও দুর্দমনীয় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। দেশবাসী কৃতজ্ঞ।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের অর্থনীতি ধসে পড়েছে সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ ভাগ। করোনা না আসলে জিডিপির হার আরও বাড়তো। তিনি বলেন, আজ দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত। বাঘা বাঘা অর্থনীতিবিদদের মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ম্যাজিক ফিগারের দেশ হয়েছে।
আইজিপি বলেন, এমন একজন মহয়সী নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিনটি বড় খেলার কথা বললে দাবার কথা বলতে হয়। আগামী বছর থেকে স্কুল পর্যায়ে নতুন এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজতে স্কুল পর্যায়ে দাবা প্রতিযোগিতা শুরু করবো। আমরা প্রথমবারের মত জেলা পর্যায়ে দাবা লীগের আয়োজন করতে পেরেছি। আমরা এ বছর আরও তিন থেকে চারটি চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যবস্থা করেছি। অক্টোবরে আমরা শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আরও বড় পরিসরে একটি দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চাই।