শেখ আরিফুল ইসলাম আশা: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতারের ঘটনা তদন্তের জন্য করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়া রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে সাতক্ষীরায় নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে র্যাবের একটি দল সাহেদকে নিয়ে সাতক্ষীরার দেবহাটার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দেবহাটা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সাহেদ।
র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশিদ বলেন, দেবহাটা থানায় দায়ের করা মামলায় সাহেদ করিম এখন রিমান্ডে রয়েছেন। মামলার তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা সাহেদ করিমকে যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সেখানে নিয়ে গেছেন। তদন্তকাজ শেষ হলে আজই তাকে র্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে নেয়া হবে।
সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় দায়ের করা মামলার বাদী সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পের ডিএডি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্তের জন্য সাহেদকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তকাজ শেষে আবার তাকে ফেরত নেয়া হবে।
গত ১৫ জুলাই দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্তের লবঙ্গ নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুর নিচ থেকে সাহেদকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
ওই দিনই র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাহেদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাহেদ।
মামলার তদন্তভার দেয়া হয় দেবহাটা থানা পুলিশের পরিদর্শক উজ্জ্বল কুমার মৈত্রকে। ২২ জুলাই মামলার তদন্তভার র্যাবের ওপর অর্পিত হয়। এরপর মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন সাতক্ষীরা র্যাব ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম। তিনি সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতক্ষীরা আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গত রোববার (২৬ জুলাই) আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৬ আগস্ট সাতক্ষীরা আদালতে সাহেদকে সোপর্দ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.