সাতক্ষীরা জেলার বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামাল তরুণদের সাথে "মুজিববর্ষ তারুণ্যের ভাবনা" শীর্ষক এক ব্যতিক্রমী আলোচনা অনুষ্ঠান করে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতার জেলা প্রশাসক আজ সাতক্ষীরা সীমান্ত আদর্শ কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সাথে "মুজিববর্ষ তারুণ্যের ভাবনা" বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান করেন আজ।
জেলা প্রশাসক আলোচনার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ, ২ লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
১৭ মার্চ, ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত ঐতিহাসিক মুজিববর্য পালিত হতে যাচ্ছে সেটি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মনের ভাবনা, ছাত্রছাত্রীরা নিজেকে কোথায় দেখতে চায়, সাতক্ষীরা জেলাকে কেমন দেখতে চায়, সর্বোপরি কেমন বাংলাদেশ তারা প্রত্যাশা করে সেটি জানতে চান জেলা প্রশাসক, এস এম মোস্তফা কামাল।
ছাত্রছাত্রীরা আশা প্রকাশ করেন আগামীর বাংলাদেশ হবে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, বাল্যবিবাহমুক্ত, শিশুশ্রমমুক্ত, ভিক্ষুকমুক্ত, সাইবার ক্রাইম মুক্ত, সুখী সমৃদ্ধি সোনার বাংলা। যেখানে থাকবে না সাম্প্রদায়িকতা, থাকবে না কোন বেকার, সড়ক দুর্ঘটনায় হারাবে না কোন প্রাণ।মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধির বিকাশ ঘটবে, বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠবে।প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন। পরিকল্পিত শিল্পায়ন ও নগরায়ন হবে, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ, গড়ে উঠবে সুখী, সমৃদ্ধি জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ।
জেলা প্রশাসক ছাত্রছাত্রীদের উন্নত মানুষিকতা তৈরি ও বড় স্বপ্ন দেখার পরামর্শ দেন।যে বড় স্বপ্ন দেখতে পারে সে পরিশ্রম করতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল তিনি বাংলাদেশ স্বাধীন করবেন বলেই তিনি দিনের পর দিন জেলখানায় কষ্ঠ করতে পেরেছেন।
জেলা প্রশাসক ছাত্র ছাত্রীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাদের অন্তরে ধারণ করার কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শক্তিশালী পাকিস্তানি জান্তার হাত থেকে এ দেশের স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছে শুধুমাত্র দেশপ্রেমের কারণে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক তরুণদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে বলেন। শিক্ষা, সাহিত্য চর্চা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে সকল অপশক্তিকে পরজিত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান, মান্যবর জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক ছাত্রছাত্রীদের উদ্যেশ্যে বলেন, তোমাদেরকে পড়তে হবে, জানতে হবে, ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে, নিজেদেরকে নেতৃত্বের জায়গায় নিজে যেতে হবে। জেলা প্রশাসক পরিবেশ দূষণের ব্যাপারে ও সবাইকে সচেতন হতে বলেন।
সাতক্ষীরা সীমান্ত আদর্শ কলেজের প্রিন্সিপাল জেলা প্রশাসকের এই ব্যতিক্রমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই ধরণের আলোচনা ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং সোনার বাংলা বিনির্মাণে কার্যকরী ভুমিকা রাখবে।এসময় সীমান্ত আদর্শ কলেজের সভাপতি ও আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্জ আব্দুর রউফ সহ কলেজের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।