মুখে মাস্ক ব্যবহার না করে বাইরে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা বা শাস্তি বা উভয় প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বার বার সর্তক করার পরও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না বলে দেখা যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে তাঁর অফিস কক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সভায় আলোচনা হয়। ১০০ শয্যার খুলনা ডায়বেটিক হাসপাতালটি বর্তমানে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে ৩৮জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে যদি রোগীর চাপ বৃদ্ধি পায় তা সামাল দিতে নার্গিস মেমোরিয়ায় হাসপাতালটি ব্যবহার করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের সেবায় চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী খুলনা নগরীর হোটেল মিলেনিয়াম, হোটেল এ্যাম্বাসেডর, হোটেল রয়্যাল এবং সিএসএস আভা সেন্টারে অবস্থান করেন। এই চারটি আবাসস্থল এবং খুলনা ডায়বেটিক হাসপাতালের ব্যয়বিল পরিশোধের ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়। ইতোমধ্যে এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যয়ের বিল দাখিল করেছে। যে হোটেল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোঃ রেজা সেকেন্দার, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জিএম আবুল কালাম আজাদ, জেলা সমাজসেবা দফতরের উপপরিচালক খান মোতাহার রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ জিমি, সিটিজেন জার্নালিস্ট, সাতক্ষীরা।
Copyright © 2024 Update Satkhira. All rights reserved.