নিজস্ব প্রতিবেদক : সদরের লাবসা ইউনিয়নের কদমতলা-থানাঘাটা হয়ে বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত ২৩শ’৭০ মিটার রাস্তা পাকাকরণে নিন্মমানের বিটুমিন ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও দরপত্র বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতকষীরা-০২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এসময় তিনি বলেন, ‘দেশের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নে সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। বছর যেতে না যেতেই রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ছে। শুধু তদারকির দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলা একমাত্র কারণ। আবার ঐ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সাথে দুর্নীতির সহায়তা করে অনেক নেতা। যারা এভাবে দেশের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে স্বোচ্ছার হওয়ার আহবান জানান।
রাস্তা সংস্কারে কোন অনিয়ম দুর্নীতি করে সরকারের টাকা ও জনগণের ক্ষতি করলে সহ্য করা হবেনা।’ শুক্রবার সকালে লাবসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিম, প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু ও ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নানসহ এলাকাবাসী সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম ও সহকারী প্রকৌশলী জাহানারাকে এলাকায় ডেকে কাজ বন্ধ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দিতে বলেন। সকলের সিদ্ধান্তে সকালের কাজ বন্ধ করা হয়। কাজের শুরু থেকেই নিন্মমানের ইট ও বালু ব্যবহার করেছেন ঠিকাদার। বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে নিন্মমানের বিটুমিন আনলে এলাকাবাসী ও পথচারীরা বুঝতে পেরে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের খবর দেয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক ৫২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ রাস্তায় অত্যন্ত নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে বলে এলাকাবাসী ও পথচারীদের অভিযোগ। সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম ও সহকারী প্রকৌশলী জাহানারা সহ কর্তৃপক্ষের যোগসাজসেই এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন। গত ১৪ অগস্ট ২০১৭ তারিখে রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহারের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হলে তখন সেই সময়ের সদর উপজেলা প্রকৌশলী এম জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঠিকাদার হিসেবে কাজটি করছেন শেখ সিরাজুল হক। কিন্তু তিনি কাজ করছেন কি অন্য কেউ কাজ করছেন তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি। নিন্মমানের বিটুমিন ও নির্মাণ সামগ্রী ও দরপত্র বহির্ভূত কাজ করার অভিযোগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, লাবসা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. গোলাম কিবরিয়া বাবু ও ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান ও সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এড. মো. ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় নেতা-কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এসময়ঠিকাদারকে ভাল নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও দরপত্র অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশ দেন।
সূত্রঃ Daily Satkhira.com.