যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় আটক ২৩ শিবির নেতাকর্মী বৃহৎ নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসবিফ্রিং এ দাবি করেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনছার উদ্দিন।
প্রেসবিফ্রিং আনছার উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে শ্রীলংকায় সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। যশোরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যশোর পুলিশ সতর্ক থাকায় মণিরামপুরে গোপন বৈঠককালে শিবিরের ২৩ নেতাকর্মীকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মণিরামপুরের হায়াতপুর শাহাপুর হাফেজিয়া মাদরাসার উত্তর পোতার ভবনের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক সরকার বিরোধী মিটিং করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় মাদরাসার মধ্যে ৩০/৩২জন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী ‘বাছাইকৃত সাথী শিক্ষা শিবির-২০১৯’ লেখা ব্যানারে মিটিং করছে। তার পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের যশোর পূর্ব শাখার প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল্লাহ ও মণিরামপুর শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক শামীমসহ ২৩জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি আপত্তিকর বই ও ৪টি লাল স্কচটেপ পেঁচানো বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। প্রত্যন্ত এলাকার একটি মাদরাসায় গোপন বৈঠকের মাধ্যমে তারা সংগঠিত হচ্ছিল। পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জনগণের সহযোগিতা ছাড়া আইনশৃঙ্খলার রক্ষা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের সহযোগিতা ছিল বলেই আমরা শিবিরের নেতাকর্মীদের আটক করতে পেরেছি। আটক শিবির নেতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা কর হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন সার্কেল এএসপি (মণিরামপুর) রাকিব হাসান ও মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক।