পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মঈনুল হক বিপিএম-বার,পিপিএম বলেছেন, শেখ মুজিব শুধু একজন ব্যক্তি না, তিনি আদর্শ, চেতনা ও জীবনাচারণের আরেক নাম। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে মানুষকে ভালোবেসে অসাধ্য সাধন করা যায়। দেশ বিরোধীদের চক্রান্তে স্বাধীনতার ফসল তোলার আগেই তার জীবন স্তিমিত করে দেয়া হয়েছিল। জাতির পিতার কন্যা সব হারিয়ে এ দেশের মানুষকে স্বজন ভেবে শোককে শক্তিতে পরিণত করেন। বাঙালি জাতির জন্য সৃষ্টি করেন নতুন এক দর্শন। সেই দর্শনে মানবিকতা ও উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন তিনি। যে দর্শন উন্নয়নের মহীসোপানে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে। সেই অদম্য অগ্রযাত্রা থামানোর সাধ্য কারো নেই। যারা উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চালাবেন তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
রোববার যশোর পুলিশ লাইনসে জেলা পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
রেঞ্জ ডিআইজি আরো বলেন, মুজিব আমাদের শিক্ষা, মুজিব আমাদের চেতনা। শুধুমাত্র শেখ মুজিবকে ভালোবেসেই এদেশের মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং তাঁর নেতৃত্বেই স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শোককে শক্তিতে পরিণত করে আজ বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন।কিন্তু কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ তাঁর এই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে বিভিন্ন সময় নাশকতা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যে ভাবে যুদ্ধ করেছিল ঠিক তেমনিভাবে ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে ভয়াবহ তাণ্ডবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সেই সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সাল আর ২০২৩ সাল এক নয়, তখনকার পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতার চেয়ে বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা অনেক বেশী। কোন দুষ্কৃতকারী মহল যদি আবারো নাশকতা সৃষ্টি করতে চাই তবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। সভায় নির্ধারিত আলোচক ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। এ সময় আরও বক্তৃতা করেন সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, পৌরসভার মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ, সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এএইচএম মুযহারুল ওডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পুলিশিং কমিটির সভাপতি জেএম ইকবাল হোসেন।
স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন যশোর মুজিব বাহিনী প্রধান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মণি, নড়াইল পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম , যশোর পিবিআইয়ের এসপি রেশমা শারমিন, আজিম-উল-আহসান, মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা, যশোরের অতিরিক্ত সুপার (ডিএসবি) ফিরোজ কবির, অতিরিক্ত সুপার মুকিত সরকার, ডিআইও-১ (ডিএসবি) মামুন খানসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
আলোচনা শুরুর আগে ১৫ আগস্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রদর্শন করা হয় বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র ।
অনুষ্ঠানে কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ডক্টর মোস্তানিছুর রহমান, ঝিকরগাছার পৌরমেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল, কেশবপুর পৌরমেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, বাঘারপাড়ার পৌরমেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, চৌগাছার পৌরমেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার ও আফজাল হোসেন দোদুল, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোবাশ্বের হোসেন বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এসএম হুমায়ুন কবীর কবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌরমেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, সদস্য অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন, সামির ইসলাম পিয়াস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াসসহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি যশোরের সভাপতি মিজানুর রহমান, বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, উলাসী সৃজনী সংঘের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি, জয়তী সোসাইটির পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস, জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু ও সাধারণ সম্পাদক অসীম কুন্ডু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আছাদুজ্জামান, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন-অর-রশিদ, জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম, পাবলিক প্রসিকিউটর ইদ্রিস আলী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় কুমার সাহা, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রাশেদুল হক, জেলা সমাজসেবা অফিসের উপপরিচালক অসীত কুমার সাহা, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার হাসানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।